বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক সাত ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে। গত ক’দিন ধরেই এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
দুপুরের পর সামান্য কিছু সময় সূর্যের দেখা মিললেও উষ্ণতা মিলছে না তাতে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ সড়ক ও মহাসড়কে দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় বাড়ছে শ্রমজীবি মানুষের দুর্ভোগ। পৌষের শীত আর ঘন কুয়াশায় কাহিল হয়ে পড়েছে চর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষ।
তাপমাত্রা হ্রাস পেতে শুরু করায় শীতের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীদের সংখ্যা।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। এর ১৮ জনই শিশু। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১২ শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান সরদার বাংলানিউজকে জানান, শীত বাড়তে থাকায় এর প্রভাবে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। তাই শিশু ও বৃদ্ধদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও আকাশ মেঘ আর কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে। এ মাসেই একটি মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এফইএস/এবি