বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকেই ঠাণ্ডা বাতাসের আঁচ পাচ্ছিলেন দেশের উত্তরের জনপদের মানুষগুলো, তার কিছুটা হলেও টের পান রাজধানীবাসীও।
তাপমাত্রা নামবে এমন আভাসও ছিল।
সকালে অনেককে দেখা গেছে শীত থেকে রক্ষায় আগুন পোহাতে। শিশুদের শীতের পোশাকে মুড়ে বের করেছেন বাবা-মা। নিতান্ত প্রয়োজন ও কর্মজীবীদের দেখা গেছে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যাপ্ত গরম কাপড়ে ঢেকে চলাফেরা করতে।
মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে এসময়ে ছিল না যাত্রীর চাপ। গাড়িগুলো দেখা গেছে ফাঁকা। সবজির বাজারে পণ্যের পসরা থাকলেও ছিল না ক্রেতা। শীতের কারণে ক্রেতা নেই, বলছেন দোকানদাররা।
অন্যদিকে উল্টোচিত্র ছিল ফুটপাতে বসা শীতের কাপড়ের দোকানগুলোর। অন্যসময় সন্ধ্যার পর দোকান সাজালেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এসব দোকান চোখে পড়ে। আর দোকানগুলোতে ছিল শীতার্ত মানুষের ভিড়। দরদাম করে কিনছেন প্রয়োজনীয় কাপড়।
পাশাপাশি শীতে উষ্ণতা পেতে টং দোকানে চায়ের কাপে মজতে দেখা গেছে লোকজনকে। সড়কে রিকশা চলাচলও কম দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলিত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়। তবে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঢাকা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৭টার দিকে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। উত্তর থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার। রাতের তাপমাত্রা কমবে। আগামী দু’তিনদিন থাকবে ঘন কুয়াশা। সূর্যের আলো খুব বেশি দেখার সম্ভাবনা কম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
জেডএস/এএ