জানুয়ারির শুরু থেকে বৃষ্টি হতে পারে, এমন পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর।
চলমান বৃষ্টিতে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগামীকাল (৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে।
শৈত্যপ্রবাহের ব্যাপারে তিনি বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারির পর থেকে দেশের অধিকাংশ স্থানেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
এদিকে বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জীবিকার টানে বের হওয়া সাধারণ মানুষকে। শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তা বের হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এছাড়া বৃষ্টিপাতে অনেক পাড়া-মহল্লার রাস্তায় পানি জমে গেছে। এতেও মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
তবে ছুটির দিন হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষই বের হয়নি। ফলে বেশ ফাঁকাই রয়েছে রাজধানী শহর। নেই কোনো যানজটও।
জীবিকার টানে এই শীত-বৃষ্টিতেও বের হয়েছেন রিকশাচালকরা। তাদেরই একজন বাংলানিউজকে বলেন, আকাশ দেখে মনে হচ্ছে এখন আষাঢ় মাস। সকালে থেকেই আকাশ কালো হয়ে আসছিল।
জোবায়ের নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পৌষের মাঝে এমন বৃষ্টি শীতের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এবার পৌষের শুরু থেকেই তীব্রভাবে জেঁকে বসেছিল শীত। তবে গত কয়েকদিন সূর্য ওঠায় শীত অনেকটাই কমেছিল। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতের হঠাৎ বৃষ্টি এ পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। ফের বাড়তে শুরু করেছে শীত। যা সামনে আরও বাড়বে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসেই সারাদেশে দু’টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ও একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসবে। ৩ জানুয়ারির পর থেকে দেশের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ৬ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। মাসের মাঝামাঝিতে জেঁকে বসতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। মাসের শেষদিকে আবারও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওযার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কনকনে শীত অনুভূত হতে পারে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব বেশি থাকবে।
তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলতে রাতের তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে। ছয় থেকে আট ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং আট থেকে ১০ ডিগ্রি হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২০
এসএ/