বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাত থেকেই হঠাৎ শুরু হয়েছে বৃষ্টি। যা অব্যাহত ছিল শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালেও।
এদিন সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আকাশে হঠাৎই উঁকি দিয়েছে সূর্য।
ওয়াকার হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল। শীতও বেশি অনুভূত হচ্ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎই সূর্যের দেখা মিলেছে। আবহাওয়াটা খুবই উপভোগ্য। হালকা বাতাস, সঙ্গে রোদ। না বেশি গরম, না বেশি ঠাণ্ডা। ফুরফুরে হাওয়া বইছে, যা যে কারও মন উৎফুল্ল করার জন্য যথেষ্ট।
এদিকে জানুয়ারির শুরু থেকে বৃষ্টি হতে পারে, এমন পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর।
শুক্রবার সকালের হালকা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে জীবিকার টানে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষকে। বৃষ্টিতে পানি জমে গেছে রাজধানীর অনেক পাড়া-মহল্লার রাস্তায়।
এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৫ জানুয়ারির পর থেকে সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারির পর থেকে দেশের অধিকাংশ স্থানেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
আবহওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসেই সারাদেশে দু’টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ও একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসবে। ৩ জানুয়ারির পর থেকে দেশের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ৬ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। মাসের মাঝামাঝিতে জেঁকে বসতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। মাসের শেষদিকে আবারও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওযার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কনকনে শীত অনুভূত হতে পারে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব বেশি থাকবে।
তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলতে রাতের তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে। ছয় থেকে আট ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং আট থেকে ১০ ডিগ্রি হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।
আরও পড়ুন>>>বৃষ্টিতে ভিজছে রাজধানী, ভোগান্তি
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২০
এসএ/