শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর চ্যানেল আই ভবনের চেতনা চত্বরে এক অনুষ্ঠানে রাজশাহীকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলার ১০ম বর্ষে পদার্পণে প্রথমবারের মত এ পদক প্রদান করা হয়।
মেয়রের হাতে সম্মাননা তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর।
অনুষ্ঠানে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জিরো সয়েল প্রকল্প বাস্তবায়ন ও বিপুল পরিমাণ বৃক্ষরোপণসহ বহুমুখী উদ্যোগের কারণে ২০১৬ সালে বাতাসে ক্ষতিকারক ধূলিকণা কমাতে বিশ্বের সেরা শহর নির্বাচিত হয় রাজশাহী। আমি প্রথমবার মেয়র থাকাকালে মহানগরীতে প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগানো হয়েছিল। এবারো সিটি করপোরেশন কর্মচারী, কাউন্সিলর, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে নগরীতে প্রচুর পরিমাণ বৃক্ষরোপণ ও গ্রীনজোন সৃষ্টি করা হচ্ছে। বাতাসে ক্ষতিকারক ধূলিকণা কমানো বিশ্বের সেরা শহর রাজশাহী, এ অর্জন ধরে রেখে রাজশাহীকে আরো সতেজ করতে চাই, যাতে দেশের অন্যান্য শহর রাজশাহীকে দেখে পরিবেশের উন্নয়নে উৎসাহিত হয়। আমরা যদি প্রকৃতিকে লালন করি, তাহলে প্রকৃতি আমাদের সেইভাবেই প্রতিদান দেবে।
এদিকে এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি সিটি অব দ্য ইয়ার-২০২০ সম্মাননা লাভ করায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মেয়রকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এছাড়া রাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, পরিবেশ উন্নয়ন শাখার পক্ষ থেকেও মেয়রকে অভিনন্দন জানানো হয়।
এর আগে ২০১৬ সালে বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কণা দ্রুত কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও বিশ্বের সেরা শহর নির্বাচিত হয় রাজশাহী। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উপাত্তের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
রাজশাহী জুড়ে জিরো সয়েল প্রকল্প বাস্তবায়ন, বিপুল পরিমাণ বৃক্ষরোপণ, রাস্তার পাশের ফুটপাত কংক্রিট দিয়ে ঘিরে দেওয়া, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বহুল ব্যবহার, ডিজেলচালিত যানবাহন চলাচলে কড়াকড়িসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী কার্যক্রমের কারণে এ সাফল্য আসে। এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও বিশেষ নজরদারী আছে এ শহরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
এসএস/এমএএম/এইচজে