কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ছিল নয় দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) পুলক কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, রোববার (১২ জানুয়ারি) পর্যন্ত ভর্তি হওয়া ৩৭ জন ডায়েরিয়া রোগীর মধ্যে ৩৬ জনই শিশু। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জন শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে।
এদিকে টানা শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বাড়ায় বোরো বীজতলা ও আলু ক্ষেতের মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কর্মকর্তা বিমল দে বাংলানিউজকে জানান, টানা শীতের কবলে কিছু কিছু এলাকায় বোরো ও আলু ক্ষেতের কিছুটা ক্ষতি হলেও দিনে রোদের কারণে ক্ষতিটা পুষিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। এরপরও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এ সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে জানান, এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। আরও কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন বাংলানিউজকে জানান, শীত মোকাবিলার জন্য সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫৯ হাজার ১৪ পিস কম্বল বিতরণের পর আরও দুই হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। এছাড়াও কম্বল কেনার জন্য ১০ লাখ টাকা, শিশু পোষাক কেনার জন্য তিন লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য আরও এক লাখ টাকা পাওয়া গেছে বলেও জানান ডিসি সুলতানা।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এফইএস/আরআইএস/