বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে 'চিলি-মাদ্রিদ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন বা কপ-২৫: প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যৎ করণীয়' বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারসহ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উন্নত দেশের কাছে জলবায়ু ক্ষতিপূরণের দাবি অব্যাহত রাখলেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যক্রম বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে কপ-২৫-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ কার্যকর ও ফলপ্রসূ হয়েছে। এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সংগঠন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) ২০২০-২১ মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো স্থাপিত বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কার্যক্রম সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানত দায়ী শিল্পোন্নত ধনী দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ ব্যাপক হ্রাসকরণ ও উন্নয়নশীল ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ কপ-২৫ সম্মেলনে জোরালো বক্তব্য দিয়েছে।
তিনি বলেন, প্যারিস চুক্তির আর্টিক্যাল-৬ এর আওতায় মার্কেট ও নন-মার্কেট ম্যাকানিজমের জন্য বিস্তারিত রুলস ও গাইডলাইন অনুমোদনের বিষয়ে রাষ্ট্রগুলো একমত হতে না পারায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়-ক্ষতির জন্য সুনির্দিষ্ট আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে আলাদা তহবিল গঠন এবং প্যারিস এগ্রিমেন্ট ও জলবায়ু কনভেনশন দুই জায়গাতেই লস অ্যান্ড ড্যামেজ বিষয়ক আলোচনার বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু এ বিষয়ে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া গেছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
এমআইএইচ/এএ