বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে শুরু হয়ে শিলাসহ এ বৃষ্টি স্থায়ী হয় প্রায় মিনিট বিশেক।
ঢাকা আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, শিলাবৃষ্টির সময় পৃথিবীর দিকে বায়ুস্তরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে অর্থাৎ শূন্য ডিগ্রির নিচে নেমে আসে।
এছাড়াও এসময় আকাশে বজ্র মেঘ তৈরি হয়। ফলে মেঘের ঘর্ষণজনিত কারণে বজ্রপাত হয়।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বজ্রঝড় ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদ আফতাব।
এর আগে আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম ভাগের দু’এক স্থানে অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে, একই সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সীতাকুণ্ড, ফেনী, রাঙামাটি, মাইজদীকোর্ট, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
তবে আগামী তিন দিনের পূর্বাভাসে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি ও এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
‘এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ২-৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় ও দেশের অন্যত্র ৪-৬ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। ’
সামসুদ্দিন আহমেদ আরো জানান, এপ্রিলে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং অন্যত্র ১-২টি মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
‘এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চচল ও তৎসংলগ্ন ভারতীয় অংশে ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কতিপয় স্থানে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এমআইএইচ/এএ