ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

পঞ্চগড়ে কালবৈশাখী ঝড়-বজ্রবৃষ্টি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২০
পঞ্চগড়ে কালবৈশাখী ঝড়-বজ্রবৃষ্টি কালো মেঘে ছেয়ে গেছে চারিপাশ। ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হঠাৎ করেই কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়েছে। এতে করে দিনের আলো রাতের আঁধারে পরিণত হয়ে যায়। একইসঙ্গে শুরু হয় মুষলধারে বজ্রবৃষ্টি।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় এই ঝড়ের প্রভাব শুরু হয়, প্রায় আধাঘণ্টার মতো চারপাশ অন্ধকারে ঢেকে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হওয়া বজ্রবৃষ্টি।

ঝরে সকাল ১০টা পর্যন্ত।

এদিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টায় আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে। হঠাৎ তীব্র বেগে ঝড়ো হাওয়া, বিদ্যুৎ চমকানো ও ক্ষণিকের মধ্যেই মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আকস্মিক বৃষ্টিতে অনেকেই কাকভেজা হতে হয়।

আলিম নামে একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, করোনার প্রাদুর্ভাব এড়াতে প্রশাসন দুপুর ১টা পর্যন্ত দোকান থেকে ভোগ্যপণ্য কেনার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সকাল থেকে এই কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে ফাঁকা হয়ে পড়েছে বাজার। কালো মেঘে ছেয়ে গেছে চারিপাশ।  ছবি: বাংলানিউজজাহিরুল নামে আরেকজন জানান, আমি বাড়ি থেকে বাজার করতে এসে দেখি হঠাৎ করেই আবারো রাত হয়ে গেছে। সঙ্গে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস। এর কিছুক্ষণ পরেই আবার বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এটি কালবৈশাখীর প্রভাব। এই ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত মাঝেমধ্যে এই ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টি দেখা দিতে পারে বলে এই কর্মকর্তা আরো জানান।

এদিকে বৈশাখ মাসের দ্বিতীয় দিন বুধবার মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়সহ বৃষ্টি হয়েছে।

সকাল থেকে কালো মেঘে ঢেকে যায় মেহেরপুরের আকাশ। এরপরেই শুরু হয় ঝড়, সঙ্গে বৃষ্টি। জেলার গাংনী উপজেলার বড় বামন্দী, আড়পাড়া, সানঘাট, ছাতিয়ান, হোগলবাড়িয়া, মেহেরপুর সদর উপজেলর গোভিপুর, রাজাপুর, যাদবপুর, রাধাকান্তপুর, মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর, মোনাখালি, পরানপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝড় ও বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে থেকে ১১টা পর্যন্ত এ ঝড় বৃষ্টি হয়। কালো মেঘে ছেয়ে গেছে চারিপাশ।  ছবি: বাংলানিউজগাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দীন জানান, গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হালকা ঝড়ো হওয়াতে ফসলের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। এ সময় ঝড় বেশি হলে উঠতি ফসল বিশেষ করে বোরো ধান, কলা, সবজি ফসল ও আমের ক্ষতি হবে।

এদিকে ঝড়বৃষ্টিতে মেহেরপুর জেলা শহরসহ জেলার সব অঞ্চলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বৈশাখের তপ্ত গরম বাতাস নিমিষেই শীতল হয়ে যায়। এছাড়া মৌসুমের শুরুতে কালবৈশাখীর ছোবলে উঠতি ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে আমের, কাঁঠাল বোরো ফসল ক্ষতি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।