আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত আম্পানের ২০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিপদ সংকেত দুটো দেখাতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন অবস্থানরত সুপার সাইক্লোন আম্পান উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
>>>‘বিধ্বংসী’ রূপ নিয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে আম্পান
সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের ৯০ কিমির মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটা যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে কোনো ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটারের ওপরে উঠে গেলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়। আর প্রাক বর্ষা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া এ শতাব্দীর প্রথম সুপার সাইক্লোনের জায়গা দখল করে নিল আম্পান।
এদিকে, ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী সুনিতা দেবী জানায়, মঙ্গলবার (১৯ মে) সারাদিন ও রাতে সুপার সাইক্লোনের (সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৫৫ থেকে ২৬৫ কিমি) তীব্রতা থাকবে। তবে শেষরাতের দিকে উপকূলে আছড়ে পড়লে এটির তীব্রতা কিছুটা কমে অতি প্রবল (সর্বোচ্চ ২১০ থেকে ২৩০ কিমি) ঘূর্ণিঝড় হিসেবে তাণ্ডব চালাবে। এরপর আরও শক্তি ক্ষয় করে উপকূল অতিক্রম করে সমতলে উঠে আসার সময় বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যার দিকে এটির গতি নেমে আসবে ১৭০ কিমিতে (খুব প্রবল ঘূর্ণিঝড়)। বৃহস্পতিবার (২১ মে) নাগাদ ঝড়টি শান্ত হয়ে নিন্মচাপে পরিণত হবে।
বর্তমানে ঝড়টির যে অভিমুখ রয়েছে তা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ-কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে সীমান্তের ওপারে আসাম পর্যন্ত নির্দেশ করছে। তবে দেশের অভ্যন্তরে এটি তাণ্ডব না চালালেও বজ্রসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কা করা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর ক্ষয়ক্ষতিরও একটি সম্ভাব্য পরিমাণ নির্ধারণ করেছে। এতে ঘরবাড়ি, রেল যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, গাছপালা, পশুপাশি এবং শস্যের ক্ষতি হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে উড়িষ্যার ৭শ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এলেও রাজ্যটিতে এবার তেমন ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে না। বরং পশ্চিমবঙ্গ নিয়েই ভাবছে দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
এনটি