ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

রাতে হাঁসফাঁস গরমের পর বৃষ্টিতে স্বস্তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
রাতে হাঁসফাঁস গরমের পর বৃষ্টিতে স্বস্তি

ঢাকা: একদিকে বর্ষা যেমন দেশের মধ্যভাগের দিকে এগিয়ে আসছে, তেমনটি সাগরে সৃষ্টি হয়েছে সুস্পষ্ট লঘুচাপ। ফলে গরম অনুভূতি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বস্তিও ফিরছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় অব্যাহত রয়েছে তাপপ্রবাহ।

চলতি সপ্তাহের পুরোটাই দেশবাসী ভ্যাপসা গরমের ভেতর অতিবাহিত করছে। বর্ষার আগমনের প্রভাবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বৃদ্ধি, বৃষ্টিহীনতা ও তাপপ্রবাহের কারণেই এই গরম অনুভূত হয়েছে।

তবে ধীরে ধীরে এটি কেটে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত ধীরে ধীরে বাড়ছে, তাপপ্রবাহের বিস্তৃতিও কমে এসেছে। আবার বর্ষাও দেশের মধ্যভাগ হয়ে পূর্বাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

রাজধানীবাসী বুধবার (১০ জুন) রাতেও ভ্যাপসা গরমের মধ্যে হাঁসফাঁস করেছে। তবে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকালে হয়ে বৃষ্টিপাত কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। পূর্বাভাস বলছে, আগামী সপ্তাহে বর্ষণ আরো বাড়বে।

বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগর রয়েছে উত্তাল। তাই দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মুহম্মদ আরিফ হোসেন জানান, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। যার প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে ও বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এই কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলা হয়েছে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে। একই তাদের গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম এবং বরিশাল বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এটি আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত অবস্থা অনুকূলে রয়েছে।

এই অবস্থায় শুক্রবার সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এই সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। একইসঙ্গে রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী এবং পঞ্চগড় অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে খেপুপাড়ায়, ৩৮ মিলিমিটার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।