আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সতর্কতা জারি অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
এদিকে, রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৪ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ
হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ সময় ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার থাকতে পারে। যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। এই প্রবণতা মঙ্গলবার (১৬ জুন) পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) নাগাদ আবহাওয়ার তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না।
শনিবার (১৩ জুন) দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নিকলিতে; ৪৭ কিলোমিটার। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুতুবদিয়ায়; ৩৪ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
ইইউডি/টিএ