রোববার (১৪ জুন) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা নেই। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
এদিকে, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদুপর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় ভূমি ধসের কোনো শঙ্কা নেই।
বর্ষার এ অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশালী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, দেশের সব প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার নাগাদ এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
পাউবো জানিয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০১টি স্টেশনের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫টিতে পানির সমতল বেড়েছে। কমেছে ৪১টি স্টেশনের পানি। আর অপরিবর্তিত আছে ৫টি স্টেশনে পানি উচ্চতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
ইইউডি/ওএইচ/