শনিবার (২৬ জুন) দেশের বন্যাপ্রবণ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে পাউবো আরো জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ও মেঘালয় প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। ফলে, এ সময়ে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, উত্তরাঞ্চলের ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বাড়তে পারে।
তিস্তার পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টায় দ্রুত বাড়বে। গঙ্গা-পদ্মার পানি সমতল আগামী ৭২ ঘণ্টায় বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে।
গত সপ্তাহে দেশের অভ্যন্তরে ও ভারতে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়েছে। তবে কোনো নদীর পানিই বিপদ সীমার ওপর দিয়ে তেমন প্রবাহিত হয়নি।
এদিকে পাউবো পূর্বাভাস সঠিক হলে জুনের শেষেই দেখা দিতে পারে বন্যা। আবহাওয়া অফিস জুনের শুরুতেই স্বল্পমেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছিল।
পাউবো বুধবার জানিয়েছে, চেরাপুঞ্জিতে মঙ্গলবার (২৩ জুন) মৌসুমের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, সেখানে রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫৬ মিলিমিটার বর্ষণ। এছাড়া পাসিঘাটে ১৮২ মিলিমিটার, ডিব্রুগড়ে ৭৫ মিলিমিটার ও দার্জিলিংয়ে ৬৮ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে।
বর্তমানে পাউবোর পর্যবেক্ষণাধীন ১০১টি স্টেশনের মধ্যে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ৫২টি স্টেশনে বেড়েছে আর কমেছে ৪৩টি স্টেশনের পানি আর অপরিবর্তিত আছে ছয়টি স্টেশনের পানির সমতল।
দেশে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, পদ্মা, মেঘনা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সুরমা, ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে গেলে সংশ্লিষ্ট অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, ঘাঘট, পদ্মার নদীর পানিতে দেশের অর্ধেক জেলা প্লাবিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
ইইউডি/আরআইএস