মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৮১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলা-উপজেলা শহরের সঙ্গে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বানভাসি মানুষের মধ্যে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। ঘর-বাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় উঁচু রাস্তা, বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তবে নৌকার অভাবে অনেকেই নিরাপদ স্থানে যেতে পারছেন না। তবুও জীবন বাঁচাতে দুর্ভোগের সঙ্গে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে নারী-পুরুষ-শিশু।
ধরলা নদীর পানির প্রবল চাপে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সারডোবে একটি বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে নতুন করে আরও ঘর-বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। প্রবল স্রোতে বেশকিছু ঘর-বাড়ি ও গাছ-পালা বিধ্বস্ত হয়েছে। হাস-মুরগি, আসবাবপত্র, ধান-চালসহ অনেক মালামাল ভেসে গেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সারডোবে বিকল্প বাঁধটি রক্ষার জন্য বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছিলো। কিন্তু তীব্র স্রোতের মুখে পানির প্রবল চাপে শেষ পর্যন্ত বাঁধটি রক্ষা হয়নি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলায় ৪৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৪শ মেট্টিক টন চাল, ১১ লাখ টাকা ও তিন হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদশে সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
এফইএস/এএটি