পানি উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদফতেরর বরাত দিয়ে মধ্যমেয়াদী পূর্বাভাসে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে, ২০ জুলাইয়ের দিকে ব্যাপক বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২৫ জুলাই নাগাদ এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে।
আবহাওয়া অফিস বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাতে জানিয়েছে, বর্তমানে ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত মৌসুমী বায়ুর অক্ষ বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ু কম সক্রিয় এবং বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এই অবস্থায় শুক্রবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা নাগাদ রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কো্থাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। শনিবার নাগাদ বৃষ্টিপাত বাড়বে। বর্ধিত পাঁচদিনে অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার নাগাদ ভারী বর্ষণের শঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়- ৪৯ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে- ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিনের তুলনায় দেশের উত্তরে সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাত বাড়ছে।
জলাপাইগুড়িতে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণ হয়েছে। সেখানে রেকর্ড করা হয়েছে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। এছাড়া চেরাপুঞ্জিতে ৫৮ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে।
গত সপ্তাহের শেষের দিকে এসব অঞ্চলে ব্যাপক বর্ষণের কারণে বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জুনের চেয়ে জুলাইয়ে এই বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যায় দেশের ১৮ জেলার ৯২টি উপজেলার ৫৩৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
ইইউডি/এইচজে