বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৯৩ সেন্টিমিটার ও করতোয়া নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি ৫৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচে রয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছে, গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান।
এর মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও কুপতলা ইউনিয়ন ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ও জুমারবাড়ী ইউনিয়নের পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাঁশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এ উপজেলার ১৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া, খাটিয়ামারী ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। এ উপজেলার প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যা কবলিত মানুষগুলো গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ওই এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, বিচ্ছিন্ন রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, হুমকিতে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে জানান, জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এ পর্যন্ত ৩২০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা, শিশুখাদ্য চার লাখ, গোখাদ্য দুই লাখ ও ১৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এগুলো বিতরণ করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২০
এএটি