ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

উন্নতির দিকে বন্যা পরিস্থিতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
উন্নতির দিকে বন্যা পরিস্থিতি

ঢাকা: দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি না বাড়ায় উন্নতির দিকে যাচ্ছে দেশের বন্যা পরিস্থিতি। বৃষ্টিপাত না বাড়লে আগামী কয়েকদিনে পানিতে টান পড়বে।

পানি উন্নয়র বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বর্তমানে ১৮টি নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যায় প্লাবিত রয়েছে ১৮টি জেলার নিম্নাঞ্চল।

বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলোর পানি সমতলও স্থিতিশীল আছে, যা আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

তবে ঢাকা জেলার আশেপাশের নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বুধবার (২৯ জুলাই) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের ধরলা ও তিস্তা নদীগুলোর পানি সমতলও বাড়তে পারে।

এ অবস্থায় বুধবার নাগাদ কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর এবং নওগাঁ জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। অপরদিকে, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ি, শরীয়তপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

গত কয়েকদিনে বৃষ্টিপাত কমে গেলেও বর্তমানে কোথাও কোথাও ভারী বর্ষ হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে বৃষ্টিপাত আরও কমে যাবে। এক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝিতে বর্ষণ ফের বাড়তে পারে।

এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানায়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদ-দেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মােটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।

এ কারণে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা কমে যাবে বৃহস্পতিবার নাগাদ। তবে বর্ষণের প্রবণতা বাড়বে ঈদের পর।

আগামী ১ আগস্ট ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছে, ঈদের দিন দেশের কোথাও রোদ, কোথাও বৃষ্টি থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
ইইউডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।