ঢাকা: বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও ভারী বর্ষণ তেমন নেই। এ অবস্থায়ও বেড়েছে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দেশের সবচ বিভাগেই বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু পরিমাণে কম। সঙ্গে ছিল সূর্যের কিরণও। ফলে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদফতর রাতে জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীতে, ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৬ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ৪৬ মিলিমিটার।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় বিরাজ করছে।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
শনিবার নাগাদ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচদিনের আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
এদিকে রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০
ইইউডি/এএ