ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

কক্সবাজারে আবারও বন্য হাতি হত্যা, ২ বছরে ১৩টি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
কক্সবাজারে আবারও বন্য হাতি হত্যা, ২ বছরে ১৩টি

কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির বনাঞ্চলে গুলি করে একটি হাতিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ২ বছরে কক্সবাজারে অন্তত ১৩টি বন্য হাতি হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবেশবাদীদের।

রোববার (১৫ নভেম্বর) কক্সবাজার বন বিভাগ এই তথ্য জানান। ধারণা করা হচ্ছে শনিবার (১৪ নভেম্বর) রাতের কোন এক সময়ে এই হাতিটিকে হত্যা করা হয়েছে।

কক্সবাজার (দক্ষিণ) বন বিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানান, মৃত হাতিটি দেখে এলাকাবাসী তাদের খবর দেন। পরে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত হাতিটির মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

তিনি বলেন, হাতির ওপরের অংশে (শরীরে) আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। হাতিটি বেশ বয়স্ক। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ, বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হাতিটিকে হত্যা করা হয়েছে। যেকোনোভাবে হত্যা করার আলামত পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

চকরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুপন নন্দী ও ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন।

সুপন নন্দী বলেন, স্ত্রী হাতিটির বয়স আনুমানিক তিন বছর। হাতিটির কপালে একটি গুলি করা হয়েছে। গুলির কারণে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাতিটি মারা গেছে।

এদিকে গত ৬ নভেম্বর চকরিয়ায় তিন বছর বয়সী একটি বন্য হাতিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর ওই হাতিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। ৮ নভেম্বর সকালে স্থানীয় বন বিভাগ উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের গহীন জঙ্গল কালাপাড়া নামক এলাকা থেকে মাটি খুঁড়ে হাতির মরদেহটি উদ্ধার করে।

কক্সবাজারের পরিবেশবাদী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ধানখেত রক্ষার জন্যই লোকজন বৈদ্যুতিক শক ও গুলি করে বন্য হাতি হত্যা করছে। গত ২ বছরে কক্সবাজারে অন্তত ১৩টি বন্য হাতি হত্যা করা হয়েছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. হুমায়ন কবির বলেন, রামুতে হাতিটিকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
এসবি/এইচএমএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।