মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গলে শীতের পারদ এখন ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে। এটিই মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বিকেলের পর সূর্য ডোবার সময় ঘনিয়ে এলেই মৃদু শীত অনুভূত হতে থাকে। সন্ধ্যার পর জেঁকে বসে শীত। সময় গড়াবার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তীব্রতা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যতাপ মুছে দেয় কুয়াশা ঢাকা হিমের আমেজ।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিচিত্র হতে শুরু করেছে প্রকৃতির রূপ। চা বাগানের সারি সারি ছায়গাছগুলো সকাল-সন্ধ্যা ঢাকা পড়ছে ধূসর কুয়াশার চাদরে। প্রকৃতির এই মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে করোনা সংক্রমণ উপেক্ষা করে পর্যটকদের ভিড়ও বাড়তে শুরু করেছে সবুজ-ঘন চা বাগানগুলোতে।
এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গল এবং চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী মো. জাহেদুল ইসলাম মাসুম বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলে তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই চলতি শীত মৌসুমে দ্বিতীয়বার রেকর্ড করা শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সোমবার ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের পাশাপাশি শ্রীমঙ্গলে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। যদিও দুপুরে রোদের তীব্রতা থাকে, কিন্তু সন্ধ্যা গড়াতেই শীত ধীরে ধীরে গভীর হয়ে রাতে তীব্রতর হয়। এর প্রভাব থাকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত।
তিনি বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। সেদিনের তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর গত ২০ ডিসেম্বর সেই তাপমাত্রা আরো কমে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২১ ডিসেম্বর ৭ দশমিক ৬, ২২ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৫, ২৩ ডিসেম্বর ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৪ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৫ ডিসেম্বর ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৬ ডিসেম্বর ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২৭ ডিসেম্বর ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহের ডাটা থেকে দেখা যায় তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমছে।
আমাদের আবহাওয়ার তথ্যানুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলো ‘মৃদু শৈত্যপ্রবাহ’। ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এলে এটা ‘মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ’। আর ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আসলে ‘তীব্র শৈত্যপ্রবাহ’ বলে জানান আবহাওয়া সহকারী মো. জাহেদুল ইসলাম মাসুম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০
বিবিবি/এএ