পাবনা (ঈশ্বরদী): ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা কমেছে ৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত তিনদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রোববার (১০ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
ফলে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। পৌষের শেষে কনকনে ঠাণ্ডা এবং বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ সকাল থেকে দুপুর হলেও দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশায় মাঝে মধ্যে সূর্য উঁকি দিলেও নেই কোনো তাপ। ঠাণ্ডা আর উত্তরের হিম বাতাসে যেন জবুথবু অবস্থা। শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসার জন্য সব বয়সীদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসার জন্য ভিড় করতে দেখা গেছে। তবে শিশুদের সংখ্যা বেশি।
ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার শফিকুল ইসলাম শামিম জানান, ঈশ্বরদীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে নবজাতক ও শিশুরা নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত দুইদিনে সববয়সী রোগী এলেও শিশুদের নিয়ে আসা মায়েদের সংখ্যা বেশি।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ঈশ্বরদী উপজেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। একদিনের ব্যবধানে ঈশ্বরদী উপজেলায় তাপমাত্রা কমেছে ৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে মেঘের পরিমাণ বেশি, রাতে কুয়াশা কম থাকার জন্য তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মেঘ কমে গেলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহে শীত বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
আরএ