ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

উত্তরে ভারী, অন্যান্য স্থানে হালকা বর্ষণের আভাস

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২১
উত্তরে ভারী, অন্যান্য স্থানে হালকা বর্ষণের আভাস

ঢাকা: বৃষ্টিপাতের প্রবণতা দু’দিন থেকে বেড়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হচ্ছে।

এর ধারবাহিকতায় ঈদুল আজহার দিন (২১ জুলাই) দেশের উপরের দিকে কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হবে। আর ঢাকাসহ নিচের দিকে কোথাও কোথাও হালকা বর্ষণের আভাস রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু দেশের উপর সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থা থাকবে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত। ফলে আগামী দু’দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ হবে। এরপর কিছুটা কমবে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বিষয়টির ব্যাখা করে বলেন, বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কম বেশি বর্ষণ হচ্ছে। উত্তরে বৃষ্টি বেশি হচ্ছে। এটা আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত থাকবে। এরপর আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত দেশের অন্যান্য স্থানে বর্ষণ কম হবে। কেবল উপরের দিকে অর্থাৎ রংপুর, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ভারী বর্ষণ হবে। ঢাকাসহ নিচের দিকে হালকা বর্ষণ হবে। ঈদের সময়টাতে অর্থাৎ আগামী ২১-২২ জুলাইয়ের দিকে দেশের উত্তরের দিকে ভারী বর্ষণ হবে। আর অন্যান্য স্থানে হবে হালকা বর্ষণ।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৭-১৯ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম, মেঘালয়ে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হবে। আর ২০-২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ, সিকিমে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু স্থানে বর্ষণ হবে।

আগের ধারণা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, দার্জিলিং, আসাম, মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত হলে দেশের উত্তরাঞ্চলেও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী ভারতের ওই অঞ্চলগুলোতে ভারী বর্ষণ হলে তার প্রভাব বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল, ময়মনসিংহ অঞ্চলেও পড়ে। ফলে উত্তরাঞ্চলের ঈদের আনন্দে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে রোদের দেখাই বেশি মিলবে।

বজলুর রশিদ বলেন, ঈদের সময় সাগরে লঘুচাপ বা কোনো ঝড়ের আভাস নেই। কেবল মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকবে। অন্যদিকে যেসব স্থানে বৃষ্টিপাত হবে না কিংবা হালকা বর্ষণ হবে, সেসব স্থানে বেড়ে যেতে পারে ভ্যাপসা গরম। কেননা বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বৃষ্টির কারণে বেড়ে গেছে। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে গরম অনুভূত হয় বেশি।

তিনি আরও বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকা মানে বাতাস ভেজা অবস্থায় থাকা। এ অবস্থায় তাপমাত্রা বাড়লে শরীর থেকে ঘাম বাতাসে মিশে যেতে সময় নেয়। ফলে গরম অনুভূত হয় বেশি।
 
আবহাওয়া অধিদফতরের কয়েকদিনের রেকর্ড থেকে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের মধ্যে বেশির ভাগ দিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭০ শতাংশের উপরে ছিল। ফলে যখনই বৃষ্টিপাত কমে গেছে বেশ গরম অনুভূত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২১
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।