ঢাকা: মৌসুমি বায়ু ও নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত বাড়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্য পরিস্থিতি। খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে সে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী রোববার (১ আগস্ট) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
গঙ্গা নদীর পানির সমতল বাড়ছে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী রোববার নাগাদ গঙ্গা নদীর পানির সমতল বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে এবং পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।
এদিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার সব প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী শনিবার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, আগামী শনিবার নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলের কক্সবাজার, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে।
এছাড়া দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে।
বর্তমানে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের নিম্নাচল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে মারাও গেছেন অন্তত পাঁচজন।
পাউবো জানিয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে শুক্রবার (৩০ জুলাই) পানির সমতল বেড়েছে ৪০টিতে। ৬৩টি পয়েন্টে কমেছে পানির সমতল। অপরিবর্তিত আছে পাঁচটি পয়েন্টের পানির সমতল। একটির তথ্য সংগ্রহ এখনও শুরু হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) লামায় মাতামুহুরীর পানি বিপৎসীমার উপরে উঠে গিয়েছিল। শুক্রবার তা বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
ইইউডি/আরবি