ঢাকা: উত্তরের সীমান্তবর্তী ভারতীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বাড়ায় ফের বাড়ছে তিস্তার পানি। আগামী সোমবার (২ আগস্ট) নাগাদ পানির উচ্চতা বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।
তিস্তা নদীটি বন্যা ও ভাঙনপ্রবণ নদী। চলতি মৌসুমে অন্তত তিনবার এ নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে প্লাবিত হয়েছে রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল। ভাঙনে বিলিন হয়েছে ঘড়বাড়ি। ফের একই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন এমন তথ্য।
তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীগুলোর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে
পারে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার সব প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী সোমবার পর্যন্ত পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
একই সময়ের মধ্যে তিস্তা নদীর পানির সমতল বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানির স্থিতিশীল রয়েছে। চলতি সপ্তাহে বাড়ার প্রবণতা থাকলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির শঙ্কা নেই।
গঙ্গা-পদ্মা পাড়েও আগামী সাতদিনে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর পানির সমতলও এ সময়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে না।
পাউবো জানিয়েছে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে রোববার (১ আগস্ট) ৩৬ পয়েন্টে পানির সমতল বেড়েছে। কমেছে ৬৮টি পয়েন্টে পানির সমতল। চারটিতে পানির সমতল অপরিবর্তিত আছে। একটির তথ্য এখনো সংগ্রহ শুরু হয়নি। অর্থাৎ কোনো নদ-নদীর পানিই বিপৎসীমার উপরে নেই।
রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত পাউবোর পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে দিব্রুগড়ে ৬৫ মিলিমিটার, চেরাপুঞ্জিতে ৪৪ মিলিমিটার ও ধুবরীতে ৩৮ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২১
ইইউডি/আরবি