বরিশাল: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবশ্যার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ওপর দিয়ে অতিক্রম করেছে। ফলে নদ-নদীর তীরের জনপদ ও চরাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কীর্তনখোলা নদীর পানি প্রবেশ করে বরিশালের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকাগুলোর সড়ক ও বাসা-বাড়ির উঠান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকাবাসী।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান নদী মেঘনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। ফলে মেঘনার সঙ্গে সংযুক্ত তেঁতুলিয়া, কীর্তনখোলা, কালাবদর নদীতে পানি বেড়েছে। একই কারণে বঙ্গোপসাগরের যুক্ত পায়রা, বিষখালী, কচা এবং সন্ধ্যা নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, পূর্ণিমার জো এর কারণে কীর্তনখোলাসহ এই অঞ্চলের অন্য নদ-নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। বিপৎসীমার ওপর থেকে প্রবাহিত হয়েছে কীর্তনখোলা নদীর পানি। সোমবার বিকেলের হিসাব অনুযায়ী কীর্তনখোলা নদীতে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর থেকে পানি প্রবাহিত হয়েছে।
শুধু কীর্তনখোলা নয়, বরিশালের নয়াভাঙ্গুলী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার, তেতুঁলিয়া নদীর পানি ৪৩ সেন্টিমিটার, সুরমা-মেঘনা নদীর পানি ৬৭, কচা নদীর পানি ১৫, বিষখালিতে ১৭ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমার ওপর থেকে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
এমএস/এএটি