মৌলভীবাজার: কনকনে শীত আর সূর্যহীন মেঘলা আকাশ ঘেরা এখন চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশ। হালকা রোদ উঠে আবার মুহূর্তেই হারিয়ে যায়।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সিলেট শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া সহকারী মো. জাহেদুল ইসলাম মাসুম বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার আমরা শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছি। আকাশে মেঘের কারণে সূর্যের দেখা নেই। তবে মেঘ কেটে গেলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। তখন তাপমাত্রা অনেক কমে যাবে।
তাছাড়া আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ অঞ্চলে দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত ১৪ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল এবং তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা যৌথভাবে সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে ১০ দশমিক ৫ রেকর্ড করা হয়েছিল। চলতি ডিসেম্বর মাসের ২৯ দিনের মধ্যে ২৬ দিনই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়াতে।
এদিকে, কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস ও রাতে ঘন কুয়াশা পড়ার কারণে বিশেষ করে জেলার শতাধিক চা বাগানের কয়েক লক্ষাধিক চা শ্রমিক পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধসহ এলাকার ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে ভোরে ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে এবং গবাদি পশুগুলোকে চটের বস্তা ও পুরাতন কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখছেন। তবে এমন শীতে থেমে নেই চা শ্রমিকসহ রাবার শ্রমিকরাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
বিবিবি/কেএআর