রাজশাহী: সামান্য বিরতি দিয়ে রাজশাহীসহ গোটা উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তিন দিনের ব্যবধানে রাজশাহীর তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় ও সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সর্বনিম্ন এ তাপমাত্রা আগামী কদিনে আরও কমবে বলেও জানিয়েছে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া অফিস বলছে, এটি ছিল এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ফলে সামান্য বিরতি দিয়ে রাজশাহীর ওপর দিয়ে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এর আগে গত সোমবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার (২ ডিসেম্বর) ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার (১ ডিসেম্বর) ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মূলত ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকেই রাজশাহীর তাপমাত্রা আবারও ক্রমাগতভাবে কমতে থাকে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক এএসএম গাউস-উজ-জামান জানান, রাজশাহীর ওপর দিয়ে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আরও ২-৩ দিন স্থায়ী হতে পারে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহটি মাঝারি থেকে আরও তীব্র হতে পারে। প্রথমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থেকে তাপমাত্রা আরও কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে পরিণত হতে পারে। তখন তাপমাত্রা ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে।
অপরদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের এক আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬-১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া উত্তরের জেলা রাজশাহী, নওগাঁ, পাবনা, নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে রাজশাহীতে মঙ্গলবার ভোর ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। এর পর সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আকাশ ছিল মেঘলাচ্ছন্ন। দিনের মধ্যভাগে কুয়াশা ও মেঘ কেটে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রোদ উঠলেও বয়ে চলা ঠাণ্ডা বাতাসে ছিন্নমূল মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শীতের তীব্রতায় কোল্ড ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি, অ্যাজমা রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২২
এসএস/আরবি