ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

দখল-দূষণে হবিগঞ্জ থেকে হারিয়ে গেছে ৪৬ নদী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
দখল-দূষণে হবিগঞ্জ থেকে হারিয়ে গেছে ৪৬ নদী

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ জেলায় নদীর সংখ্যা ছিল ৫৪টি। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রভাবশালীদের অবৈধ দখল ও দূষণসহ বিভিন্ন কারণে হারিয়ে গেছে ৪৬টি নদী।

 

টিকে থাকা বাকি আটটি নদীও রয়েছে অস্তিত্ব সংকটে। এখনই চলমান নদী দূষণ বন্ধ না করলে এ জেলার মানবিক বিপর্যয় অবধারিত।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও খোয়াই রিভার ওয়াটার কিপার আয়োজিত ‘শিল্প দূষণে বিপন্ন হবিগঞ্জের প্রাণ ও প্রকৃতি’ বিষয়ক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান বক্তারা।  

বক্তারা বলেন, হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে গড়ে ওঠা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায়, খরকী, সুতাং ও খোয়াইসহ বিভিন্ন নদীর পানি পুরোপুরিভাবে দূষিত হয়ে গেছে। নদীর পানি গাঢ় কালো রঙ ধারণ করেছে। এগুলোতে এখন একটিও মাছ নেই। কোনো প্রাণী নদীর পানি খেলে মারা যাচ্ছে ও এলাকার মানুষ নানা অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। এরপরও প্রশাসন নিরব ভূমিকায় থাকায় ভয়াবহ হচ্ছে দূষণের মাত্রা।

তারা আরও বলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে হবিগঞ্জে আরও অন্তত ২০০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে। এগুলোতে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত না হলে হুমকিতে পাড়বে হবিগঞ্জবাসীর জীবন। এ বিপর্যয় রুখতে জনতার আন্দোলনের বিকল্প নেই।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন দক্ষিণ আমেরিকার সভাপতি ডা. অধ্যাপক জিয়া উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে তিন নম্বর সেক্টরের গণযোদ্ধা কর্নেল এমএ সালাম বীর প্রতীক, বাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামীল, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আহমদ খান।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাপা হবিগঞ্জের সহ-সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল ও সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল। এতে নানা শ্রেণি পেশার পরিবেশপ্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।