ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

শ্যামনগরে অবৈধ শুঁটকির চাতালে পুড়ছে কাঠ!  

শেখ তানজির আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
শ্যামনগরে অবৈধ শুঁটকির চাতালে পুড়ছে কাঠ!   ছবি: বাংলানিউজ

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে একাধিক শুঁটকির চাতাল। পরিবেশের ক্ষতি করে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা এসব শুঁটকির চাতালে প্রতিনিয়ত কাঠ জ্বালিয়ে শুকানো হচ্ছে কাঁচা মাছ।

রাস্তার পাশের এসব শুঁটকির চাতালের ধোয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে পথচারীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের মহিন্দ্রসিলের রাস্তার পাশে খুলনার পাইকগাছার অসীম বিশ্বাস ও শ্যামনগরের ঝাপা গ্রামের বাবুল মণ্ডল চারটি এবং বুড়িগোয়ালীনির বিলাটিতে অনাদি মণ্ডল তিনটি শুঁটকির চাতাল গড়ে তুলেছেন।

এসব শুঁটকির চাতালে অবৈধভাবে শত শত মণ কাঠ পুড়িয়ে প্রতিদিন ৩-৪ টন চিংড়ি মাছ শুকানো হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে এসব চাতাল।

পথচারী আবুল হাসান জানান, রাস্তার পাশে প্রতিদিন কাঠের আগুনে চিংড়ি মাছ শুকানোর কারণে তা থেকে তৈরি ধোঁয়ায় মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। একইসঙ্গে এ কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় পরিবেশকর্মী ও বেসরকারি সংস্থা লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল বলেন, প্রতিদিন যেভাবে কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকানো হচ্ছে, তাতে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। এখন বিভিন্ন প্রযুক্তি এসেছে, সেগুলো দিয়ে মাছ শুকানো যায়। তা না করে কাঠ পোড়ানোর কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।

শুঁটকির চাতালের মালিক অসীম বিশ্বাস বলেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আমরা মাছ শুকায়। এছাড়া আমাদের কোনো কাগজপত্র নেই।

এ প্রসঙ্গে শ্যামনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।