পঞ্চগড়: দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এতে জেলায় তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সকাল ১১টায় সারাদেশের সঙ্গে নির্ণয় শেষে রংপুরের রাজারহাট ও তেঁতুলিয়ায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন দুপুর ১২টার সময় তাপমাত্রা বেড়ে ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়।
তবে সরেজমিনে পঞ্চগড় ঘুরে দেখা গেছে, ঘনকুয়াশা রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং দিনভর উত্তর-পশ্চিম থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজার গুলো।
দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ না থাকায় কনকনে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। ভোরে ঘনকুয়াশা থাকার কারণে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহানগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
দিনমজুর রফিজুল হক বাংলানিউজে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ঠাণ্ডা অনেকটাই বেড়েছে। বাতাসের কারণে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না। পেটের তাগিদে শীতের মধ্যে আমাদের প্রতিদিন কাজের জন্য বের হতে হয়।
ভ্যানচালক হামিদুল বলেন, ঠাণ্ডায় অনেকেই বাড়ি থেকে না বের হাওয়ায় লোকজন তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে যে হারে ঠাণ্ডা বাতাস তাতে সবার চলাচল করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া ও রাজারহাটে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
আরএ