রাজশাহী: শেষ মাঘে বৃষ্টি ঝরছে পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে। মাঘের এই বৃষ্টি ফসলের জন্য খুবই উপকারী।
কৃষি অধিদপ্তরের মতে, দীর্ঘ খরা ও বৃষ্টিহীন শীতে প্রকৃতি যখন রুক্ষ হয়ে ওঠে, তখন হালকা বর্ষণ ফসলের জন্য উপকার বয়ে নিয়ে আসে। তাই শুক্রবারের (৪ ফেব্রুয়ারি) বৃষ্টিতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
মূলত বৃষ্টি শুরু হয় বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টার পর। কিন্তু বৃষ্টির পরিমাণ এতটাই কম ছিল যে, তা নিরূপণ করতে পারেনি আবহাওয়া অফিস। এরপর সকালে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এখনো থেমে থেমে চলছে সেই বৃষ্টি। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো মাঝারি বর্ষণ হচ্ছে মহানগরীসহ রাজশাহী অঞ্চলে। সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় রাজশাহী মহানগরীতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ভোরে সূর্যোদয়ের পর প্রথমে কুয়াশায় ঢেকে যায় প্রকৃতি। এরপরে আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। থেমে থেমে বৃষ্টি চলছে আষাঢ় মাসের মতোই। আর সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন শহরের সাধারণ মানুষ। রাস্তার বের হলেও যানবাহন কম থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় সড়কে অপেক্ষা করছে হচ্ছে অনেকে।
বৃষ্টির কারণে এরই মধ্যে মহানগরীর অনেক নিচু রাস্তা জলমগ্ন হয়ে গেছে। এতে পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বৃষ্টি ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দুপুরের পর মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচলও কমেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর বৃষ্টির কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। গতকাল তাপমাত্রা বাড়ায় শীত কম অনুভূত হয়। কিন্তু আজ শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আজ রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
এসএস/জেএইচটি