সিলেট: মাঘে মেঘে দেখা। প্রবাদ এখনো চালু আছে গ্রাম-বাংলায়।
আর মাঘে মেঘে দেখা না হলে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর পড়ে বিরূপ প্রভাব। ধুলোকনা বাতাসে উড়ে এবং ধুলোর আস্তরণ জমে গাছ, লতা-পাতায়। ধুলায় ধুসর হয়ে মানবজীবনে দেখা দেয় রোগ ব্যাধি।
প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে মাঘের শেষে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে বৃষ্টি ঝরালো। ফলে সিলেটে গত ৩ দিনের শৈত্য প্রবাহে তীব্র শীতকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ দিন বিকেল থেকে কখনো থেমে থেমে মাঝারি আকারে আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শীতল হাওয়ার সঙ্গে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে শীতের প্রকোপ আগের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে। আর খানাখন্দে পানি জমে নগরের রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। এতে নগরীর রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
রিকাবি বাজার এলাকার ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, একদিকে তীব্র শীত, তার ওপর বৃষ্টি। এ দুই মিলে ভোগান্তি চরমে উঠেছে। দিনের প্রথম দিকে আকাশ ভালো থাকলেও বিকেল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। হাড় কাঁপুনি শীতে বৃষ্টি আগমন ঠাণ্ডার পরিমাণকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে, গুঁড়ি গুঁড়ি শীতের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে খেটে খাওয়া মানুষ সাময়িক ভোগান্তিতে পড়লেও লাভবান বোরো চাষিরা। হাওর-বাওরে বোরো আবাদকারীরা এই সময়ে বৃষ্টি হওয়ার আশায় থাকেন। আর বৃষ্টির কারণে গাছে গাছে আম-কাঁঠাল, লিচুর মুকুলসহ বিভিন্ন ফসলের উপকারও হবে এমনটি জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, বিকেল থেকে সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রাতে হালকা বৃষ্টি হবে এবং শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ার কথা। হালকা বৃষ্টির সঙ্গে একটু শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে এখন যে তাপমাত্রা আছে, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তাপমাত্রা আরো কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
এনইউ/কেএআর