সিলেট: আকস্মিক বন্যার ৩ থেকে ৫ দিন আগে পূর্বাভাস ও স্থায়িত্ব বিষয়ে সতর্কতা দিতে পারবে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সিলেট অঞ্চলে অধিক বজ্রপাতের কারণ এবং প্রতিকার বিষয়েও জানা যাবে বলে জানানো হয় কর্মশালায়।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরে বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ইসিমুড ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএস এর যৌথ আয়োজনে দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের প্রধান প্রকৌশল এস এম শহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন পাউবোর সিলেটের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মো. আব্দুস শহিদ।
সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আকস্মিক বন্যা (ফ্লাশ) শীর্ষক তিনটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শামীম হোসাইন আকস্মিক বন্যার কারণ, সময় ও ঋতু ভিত্তিক বন্যা, বৃষ্টিপাত ও সিলেট অঞ্চলে বেশি বজ্রপাতের কারণ এবং প্রতিকার বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া আকস্মিক বন্যার বিভিন্ন সময়ের তথ্য তুলে ধরেন।
বর্তমানে তারা বন্যা আসার ৫ দিন ও ৩ তিনদিন আগেই বন্যার পূর্বাভাস ও বন্যার স্থায়িত্ব বিষয়ে সতর্কতা দিতে পারেন।
আকস্মিক বন্যা মোকাবিলা ও ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও আগাম সর্তকতা বিষয়ে বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার তিনি উল্লেখ করেন।
বন্যার পূর্বাভাসে বাংলাদেশে রিমোট সেনসিং প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক এক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং এন্ড জিআইএস এর পরিচালক ও অধ্যাপক ড. শেখ তৌহিদুল ইসলাম।
২০১৭ সালে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্মরণকালের যে আকস্মিক বন্যা সংঘটিত হয়েছিল তা স্যাটেলাইট তথ্য-চিত্রের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে ড. ইসলাম দেশে আকস্মিক বন্যা, ঋতু ভিত্তিক বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাস দেয়ার ক্ষেত্রে রিমোট সেনসিং, জিআইএস, রাডার রিমোট সেনসিং, প্রযুক্তির তথ্যসমূহ ধারণ, ব্যবহার ও সফলতার বিষয়টি বিশ্লেষণ করেন।
তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের যৌক্তিকতা ও উক্ত স্যাটেলাইটের তথ্যব্যবহার করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আরও নিঁখুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
কর্মশালায় সিলেট জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, কৃষি, মৎস্য, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারের প্রতিনিধিগণ আগাম বন্যায় কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি ও বজ্রপাতে প্রাণহানি কমানোসহ আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাসের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
এনইউ/আরএ