ঢাকা: বর্তমানে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পেলে আগামী দু'দিনে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনি পৌঁছে যেতে পারে বিপৎসীমার কাছাকাছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেতে পারে। অপরদিকে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতম বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী মঙ্গলবার নাগাদ অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী বুধবার পর্যন্ত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের কতিপয় স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) নাগাদ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল কতিপয় পয়েন্টে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এই অবস্থায় সোমবার সকাল নাগাদ কুমিল্লা অঞ্চলসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ঘণ্টায় এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কি.মি.।
বুধবার নাগাদ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
ইইউডি/কেএআর