মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের মনু নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে চলে এসেছে। এর ফলে কিছুটা স্বস্তির মাঝে রয়েছেন মৌলভীবাজারবাসী।
মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুর ১২টায় পানির লেভের রেকর্ড তথ্যে দেখা যায় মনু নদীর পানি চাঁদনিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে, সোমবার (২০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শহরের চাঁদনীঘাট ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। দ্রুত বাড়তে থাকে পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাত ৯টার রিডিং অনুযায়ী বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
এদিকে মনু নদীর পারে দিবাগত সোমবারের উদ্বিগ্ন রাত কাটান মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো), মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জমানসহ পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। শুধু তা-ই নয়, মনু নদীর যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে অবহিত হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ সার্বিক দিকনির্দেশনা দেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মীর নাহিদ আহসান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো), মৌলভীবাজারের নির্বাহি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জমান বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় মনু নদীর পানি চাঁদনিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৩ মি.মি নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে পানি পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক শূন্য ৭ সেন্টিমিটার। এখানেই সোমবার রাত নয়টায় বিপৎসীমার ১০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
সূত্র জানায়, আগের দিনের চেয়ে মনু নদীর চাঁদনীঘাট পয়েন্টে নদের পানি বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার থেকে নেমে ১১ দশমিক ২০ সে.মি.তে নেমে এসেছে। বিপৎসীমার ৪ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া পানি এখন বিপৎসীমার নিচে আছে।
কমলগঞ্জের ধলাইসহ মৌলোভীবাজারের আরও নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার ধলাইর নদীর পানি বিপৎসীমা ১৯ দশমিক ৩৫ সে.মি.। সন্ধ্যায় ছয়টায় এই পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয় ১৮ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার লেভেলে। অর্থাৎ ৭৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কুশিয়ারা নদী শেরপুর ব্রিজে ৮.৩৩ প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপৎসীমার ২২ সে.মি নিচে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
বিবিবি/এএটি