ঢাকা: ঈদুল আজহার দিন ও তারপরের দিন গরমের দাপট থাকবে বেশি। ঢাকাসহ চার বিভাগে বৃষ্টিপাত একেবারেই কম হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ।
তিনি বলেন, বর্তমানে আবহাওয়ার যে গতিপ্রকৃতি দেখা যাচ্ছে এতে আগামী ১০ ও ১১ জুলাই ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহে রোদ ও গরম থাকবে। বৃষ্টিপাত হবে খুব কম। দুপুরের দিকে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে।
অন্যদিকে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে হালকা থেকে ভারী বর্ষণ বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে। তবে ভারী বর্ষণ কেবল সিলেটে হবে। সেটা টানা হবে না।
এই আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, যেহেতু রোদ থাকবে, এর মাঝে বৃষ্টি হয়ে ফের রোদ ওঠলে গরম অনুভূতি আরো বেড়ে যাবে। বাতাস থাকবে, তবে ঝড় হওয়ার কোনো শঙ্কা আপাতত নেই। বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ঈদের পরে বাড়তে পারে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বর্তমানে মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, উড়িষ্যা, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিম বঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় শুক্রবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা-সকাল ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কি.মি.।
এদিকে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে, ৩৫ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৩ মিলিমিটার, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২২
ইইউডি/জেডএ