ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রতি বছর ধনী দেশগুলো যে অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেই অর্থ মিলছে না। বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো প্রতিশ্রুত অর্থ দেওয়ার জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে।
জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলায় ২০০৯ সালের কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলন থেকে ধনী দেশগুলো প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২০২৩ সাল পর্যন্ত অর্থ দেওয়ার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ধনী দেশগুলো এই অর্থ না দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে।
প্রতিশ্রুত অর্থ না দিয়ে কথার মারপ্যাঁচে ধনী দেশগুলোর এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। সংস্থাটি অভিযোগ করে বলেছে, বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বছর প্রতি ১০ হাজার কোটি ডলার (১০০ বিলিয়ন ডলার) দেওয়ার বিষয়টি উন্নত দেশগুলোর কথার মারপ্যাঁচে এড়িয়ে যাবার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
এ কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য অভিযোজন তহবিলের বরাদ্দ বাড়ানো এবং প্রতিশ্রুত জলবায়ু তহবিল প্রদান ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশসহ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রতিনিধিদের আরও শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
এদিকে জলবায়ু তহবিল না পাওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দাতাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতির ১০০ বিলিয়ন ডলারের এক পয়সাও এখন পর্যন্ত পায়নি। প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে আমরা এ নিয়ে কথা বলেছি। জি-২০ দেশগুলো তারাই সবচেয়ে বেশি পরিবেশ দূষিত করে থাকে। এসব দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে বিশ্বজুড়ে মিলিয়ন লোক বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত দেশগুলোর আরও তৎপর হওয়া এখন সময়ের দাবি।
জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বে যেসব দেশ ঝুঁকি মোকাবিলা করছে, বাংলাদেশ এর মধ্যে অন্যতম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
টিআর/এমজেএফ