বরিশাল: বরিশালের কীর্তনখোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেইসঙ্গে দিনভর হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে গোটা বরিশালজুড়ে।
নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এরইমধ্যে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সেইসঙ্গে খাল ও ড্রেন দিয়ে কীর্তনখোলা নদীর জোয়ারের পানি বরিশাল নগরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে ঢুকে পড়ছে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের মধ্যে বরিশাল নগর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বরিশালের পার্শ্ববর্তী জেলা ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে আজ দিনের সর্বশেষ জোয়ারে ভোলার খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
অপরদিকে বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ও পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়া পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রধান নদীগুলোতে পানির স্তরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে আজ এসব নদীর সঙ্গে সংযুক্ত দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। যা শনিবারের (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে কয়েকগুণ বেশি।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে আজ ও পরবর্তী দু-একদিন দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি জোয়ারের সময় স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
এমএস/আরবি