বরিশাল: বরিশালের কীর্তনখোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে দিনভর হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে সমগ্র বরিশালে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সেই সঙ্গে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আর খাল ও ড্রেন দিয়ে কীর্তনখোলা নদীর জোয়ারের পানি বরিশাল নগরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে ঢুকে পড়ছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, বিভাগের মধ্যে বরিশাল নগর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে দিনের সর্বশেষ জোয়ারে ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
আর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
অপরদিকে বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টমিটার ও পাথরঘাটায় ৮২ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়া পিরোজপুরে বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টমিটার ও উমেদপুরে কচা নদীর পানি ২২ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পাউবোর গেজ রিডার শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রধান নদ-নদীতে পানির স্তরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে, গত দুই দিনের মতো আজ ও এসব নদীর সঙ্গে সংযুক্ত দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। যা রোববারের তুলনায় কিছুটা কম।
বরিশাল পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে গত তিনদিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি জোয়ারের সময় স্বাভাবিকের থেকে বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
এমএস/এমএমজেড