ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি ও জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি ও জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি

ঢাকা: সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি নির্ভরশীলতা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। তারা পরিবেশগতভাবে ক্ষতিকারক কার্যক্রম বন্ধ করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি উৎসাহিত করা এবং  জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি জানান।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশসহ ৩টি জলবায়ু বিষয়ক সংগঠন আয়োজিত সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।

দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার তরুণদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, প্রকৃতি পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, দায়িত্বশীল আচরণ এবং পরিবেশ ধ্বংসের উদ্যোগ প্রতিরোধ করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ। তরুণরাই পারে এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে।

তিনি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির জীবন ও সম্পদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা তৈরি এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভিযোজনমূলক পদক্ষেপের জন্য তহবিল সরবরাহ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি দ্রুত কার্যকর কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য উন্নত দেশগুলিকে আহ্বান জানিয়েছেন।

ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, জলবায়ু সংকট আমাদের দেশ ও বিশ্বের জন্য একটি বড় দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। জলবায়ু সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে আমাদের দেশের জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা বন্ধ করা এবং ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে উৎসাহিত করা জরুরি। একইভাবে দূষণকারী দেশগুলির কাছ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এই পৃথিবী আমাদের। তাই এই পৃথিবীকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই আমরা বাংলাদেশের জন্য একটি সবুজ ভবিষ্যৎ এবং অভিযোজন অর্থের ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায়বিচার দাবি করছি। জলবায়ু পদক্ষেপকে ত্বরান্বিত করা এবং অভিযোজন বা স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করা জটিল বলে মনে হতে পারে তবে এটি অপরিহার্য।

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ICCCAD) এর পরিচালক ড. সালিমুল হকও তরুণদের সঙ্গে তার দৃঢ় সংহতি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে দূষণকারী দেশগুলোর জন্যই মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। সরকার এবং জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি উভয়ই এ জন্য দায়ী এবং তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। জলবায়ু সঙ্কটের  পেছনে প্রকৃত অপরাধী যারা, সেই জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোকে মোকাবিলার সময় এসেছে । এরা মুনাফার লোভে জেনেশুনে ক্ষতি করেছে এবং দূষণকারী দেশগুলির রাজনীতিবিদদেরও প্রভাবিত করছে যারা ইউএনএফসিসিসির অগ্রগতিতে বাধা দিচ্ছে।

‘উই ওয়ান্ট ক্লাইমেট’ জাস্টিস স্লোগানকে সামনে রেখে রাজপথে এবং অনলাইনে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু ধর্মঘটের অংশ হিসেবে স্থানীয় তরুণরা এই আহ্বানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।