ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

সিত্রাংয়ের প্রভাবে না.গঞ্জ থেকে ৫ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
সিত্রাংয়ের প্রভাবে না.গঞ্জ থেকে ৫ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

নারায়ণগঞ্জ: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে পাঁচটি রুটে চলাচলরত সবগুলো লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত এসব লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।

 

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বর্তমানে পাঁচটি রুটে লঞ্চ চলাচল করে। এর মধ্যে সানকেন ডেকের ৪৯টি, হাইডেকের দুটি লঞ্চ চলাচল করছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ রুটের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ রুটে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬-৭টা পর্যন্ত ২০ মিনিট পর পর লঞ্চ ছেড়ে যায়। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর রুটে, মতলব-মাছুয়াখালী রুটে, হোমনা-রামচন্দ্রপুর রুটে, ওয়াবদা-নরিয়া-ভোজেশ্বর (শরিয়তপুর) রুটে লঞ্চ চলাচল করে থাকে।  

নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করে থাকে। এর মধ্যে গজারিয়া, ষাটনল, মোহনপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চ থামে ও যাত্রী উঠানামা করে। নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। নারায়ণগঞ্জ থেকে মতলব-মাছুয়াখালী রুটের দূরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। হোমনা-রামচন্দ্রপুর রুটে নারায়ণগঞ্জ থেকে রামচন্দ্রপুর পর্যন্ত দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার।  

নারায়ণগঞ্জ থেকে ওয়াবদা-নরিয়া-ভোজেশ্বর (শরিয়তপুর) রুটের লঞ্চগুলো মোহনপুর, সুরেশ্বর, ওয়াবদা, নরিয়া হয়ে ভোজেশ্বর পর্যন্ত চলাচল করে। নারায়ণগঞ্জ থেকে সুরেশ্বর পর্যন্ত দূরত্ব ৫১ কিলোমিটার। নারায়ণগঞ্জ থেকে ওয়াবদা পর্যন্ত দূরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। নারায়ণগঞ্জ থেকে নরিয়া পর্যন্ত দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার। নারায়ণগঞ্জ থেকে ভোজেশ্বর পর্যন্ত দূরত্ব ৬৬ কিলোমিটার।  

বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য ও পরিদর্শক সমর কৃষ্ণ জানান, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর কর্তৃক জারিকৃত ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল থাকায় এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর থেকে বিভিন্ন নৌপথের লঞ্চসমূহ সোমবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় অত্র দপ্তরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রবলতায় ক্রমেই বাড়ছে শঙ্কা। সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের বেশিরভাগ জেলায় ইতোমধ্যে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সোমবার সকালে আবহাওয়ার ৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
এমআরপি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।