ঢাকা: গত ৭৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বরিশাল ও মাদারীপুরে। এছাড়া ঢাকায় ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ঢাকায়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে একদিনের এই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ওই এলাকগুলোয় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বরিশালে একদিন ৩২৪ মিলিমিটার, মাদারীপুরে ৩১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৯৪৮ সালের পর এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত ওই দুই অঞ্চলে হয়নি। এছাড়া ঢাকায় একই সময়ে ২৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, ২০০৯ সালের পর ঢাকায় এটাই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত; সে সময় ৩৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং লঘুচাপে আকারে দেশের সীমানা পেরিয়ে বর্তমানে অবস্থান করছে আসামে। এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। ফলে সারাদেশ থেকেই কেটে যাচ্ছে মেঘ। এজন্য বুধবার (২৬ অক্টোবর) ঝলমলে রোদের দেখা মিলতে পারে। তবে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কিছুটা বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, মঙ্গলবারই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি নেমে এসেছে। এদিন সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে, ৩ মিলিমিটার। এছাড়া দেশের অধিকাংশ স্থানেই তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। এছাড়া রোদের দেখাও মিলেছে কিছুটা। ফলে তাপমাত্রা বাড়ছে।
ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে, ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ায় শিগগিরই সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে নামানো হবে সতর্ক সংকেত। কেননা, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কাও কাটছে। তবে চাঁদের প্রভাবে যে বড় জোয়ার হয়, সেটা থাকবে।
গত ২০ অক্টোবর আন্দামান ও তৎসংল্গ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়। যা ঘণীভূত হতে হতে সোমবার (২৩ অক্টোবর) রূপ নেয় ঘূর্ণিঝড়ে। এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে ও বাঁক খেয়ে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) চলে আসে বাংলাদেশ উপকূলে। ভোলার কাছ দিয়ে রাত ৯টার দিকে উপকূল অতিক্রম শুরু করে রাত ২টার দিকে সম্পূর্ণ স্থলভাগে ওঠে আসে। এরপর খুব দ্রুত শক্তি হারিয়ে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরের আগে নিম্নচাপে পরিণত হয় এটি। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া, এর অর্থ ফুল গাছ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
ইইউডি/আরআইএস