পাথরঘাটা, (বরগুনা): বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ কারণে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাথরঘাটার উপকূলের জেলেরা।
ইলিশসহ ৪৭৩ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও ১৫ এপ্রিল থেকে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।
নিষেধাজ্ঞা শেষের খবরে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে জেলে পরিবারগুলোতে। বিগত দিনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন। বৃহস্পতিবার থেকেই দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে জেলে, পাইকার, আড়তদারের হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠবে। তাই জেলেপাড়ায় একাংশের নতুন স্বপ্ন নিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিলেও অনেক জেলের অভিযোগ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও অধিকাংশ জেলেরা সাগরে মাছ শিকার করেছে।
ইউসুফ মাঝিসহ একাধিক জেলে বলেন, প্রতিবছর সরকারের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা পালন করি আমরা। এটা নাম সর্বোচ্চ। প্রতিবছরই ম্যানেজ করে জেলেরা সাগরে মাছ ধরে। এ বছরও ৫৮ দিনে একইভাবে মাছ স্বীকার করেছে। আমরা আইন মানলেও অনেকেই মানে নাই। আইন মেনেই আমরা নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ শিকারে যাবো।
জাহাঙ্গীর মাঝি বলেন, অনেক আশা নিয়েই বুধবার রাতেই সাগরে মাছ শিকারে যাবো। মাছ পেলে ধারদেনা পরিশোধ করবো। এবার কোরবানিও দিতে পারিনি।
নিষেধাজ্ঞার সময় অনেকেই সাগরে মাছ শিকার করেছে স্বীকার করে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, অনেক জেলে আইন মানলেও কিছুসংখ্যক জেলে না মেনে মাছ শিকার করছে। তবে এ আইন সবার মানা উচিত।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মো. আলফাজ উদ্দিন শেখ সাংবাদিকদের জানান, সরকার ঘোষিত অনুযায়ী ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল সাগরে মাছ ধরার জন্য।
নিষেধের সময়ে মাছ শিকারের বিষয় তার জানা নেই বলে তিনি জানান।
এএটি