ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

উপকূল থেকে উপকূল

প্রান্তিক জনপদে বদলের সঙ্গী তথ্য-প্রযুক্তি

রফিকুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫
প্রান্তিক জনপদে বদলের সঙ্গী তথ্য-প্রযুক্তি ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

উপকূলের বিচ্ছিন্ন জনপদ ঘুরে এসে: ‘ঝড়ের রাত। ধেয়ে আসছে দুর্যোগ।

বিদ্যুৎ চলে গেছে। চারিদিকে অন্ধকার। কোনো খবর পাচ্ছি না। কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না। মোবাইলের বাটন টিপে জেনে নেই শেষ খবরটা। ভয়ের কোনো কারণ নেই। ঝড় অন্যদিকে ছুঁটছে। ’

তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের নিরাপদে রাখার এই গল্প শোনাচ্ছিলেন ভোলার মনপুরা উপজেলার সমুদ্র মোহনার চর নিজামের বাসিন্দা মজিবর রহমান। সর্বশেষ আপডেট জানতে তিনি মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। অনলাইন পত্রিকাসহ বিভিন্ন মাধ্যমের খবর পান সেই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বসে। এই প্রান্তিকে অবস্থানের কারণে দুর্যোগের তথ্য তার সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে।

মজিবর রহমান বলেন, হাতের মুঠোয় সবকিছু পেয়ে বেঁচে থাকার ভরসা তৈরি হয়েছে। যাতায়াতের দিক থেকে চর নিজাম বিচ্ছিন্ন হলেও আনলাইনে এখানকার মানুষ সারাক্ষণ সংযুক্ত থাকছে কেন্দ্রের সঙ্গে। রাত যতই গভীর হোক, ঝড়ের রাতে যতই আঁধার নামুক, তথ্য-প্রযুক্তি দ্বীপের মানুষদের পথ দেখায়। সাহস যোগায়। অথচ এক সময় এখানকার মানুষেরা ঝড়ের সংকেত পেলে দিশেহারা হয়ে পড়ত।

কক্সবাজারের দ্বীপ মহেশখালীর ধলঘাটার বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, দুর্যোগের সিগন্যাল ঘোষণা হলে সবার দৃষ্টি যায় মোবাইল স্ক্রিনে। বাটন টিপে সহজেই জানা যায় সর্বশেষ তথ্য। রাষ্ট্রের উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর কিংবা বহির্বিশ্বের খবর জানতেও একই কৌশল। এখানে খবরের কাগজ আসে না। কিন্তু মোবাইল থেকে সব ধরনের খবরসহ জীবন বদলের নানান তথ্য পাই।  

এভাবেই দেশের সর্ব দক্ষিণে জেগে থাকা সমুদ্র তীরবর্তী বিচ্ছিন্ন উপকূলের মানুষ সম্পৃক্ত হচ্ছে কেন্দ্রের সঙ্গে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য-ভিত্তিক সাইট মুহূর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে বিপন্ন মানুষের কাছে। এককালের অন্ধকারে ডুবে থাকা জনপদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে যুক্ত হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তির আলো।

খবরের কাগজের আগেই খবর...
যেখানে খবরের কাগজ পৌঁছাতে অনেক বিলম্ব হয়, কিংবা আদৌ খবরের কাগজ পৌঁছায় না, সেখানে ভরসা অনলাইন গণমাধ্যম। উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীতে পাওয়া গেল এমন চিত্র।

রাজধানী ঢাকা থেকে নদীপথে প্রায় চব্বিশ ঘণ্টার দূরত্বের এই এলাকার মানুষের খবরের কাগজ দেখা ভাগ্যের ব্যাপার। বরিশাল হয়ে এখানে কিছু জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্র এলেও তা নিয়মিত নয়। ফলে পাঠক সংবাদপত্রের ওপর ভরসা রাখতে পারেন না। তাই বলে এখানকার মানুষ তথ্য শূণ্যতায় থাকে না। মোবাইল ইন্টারনেটের সুবাদে সাগরপাড়ের গ্রামের মানুষের কাছেও রয়েছে তথ্যের ভান্ডার।

রাঙ্গাবালীর মৌডুবির বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, উপকূলের বিচ্ছিন্ন অনেক এলাকায় খবরের কাগজ পাওয়া ভাগ্য নির্ভর, তাই তথ্য আদান-প্রদানে একমাত্র ভরসা অনলাইন সংবাদমাধ্যম। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ফসলের ক্ষেতে কর্মরত চাষি পর্যন্ত অনলাইনেই জেনে নেন সর্বশেষ সংবাদ। ইন্টারনেটে জেলে-চাষিসহ সব পেশাজীবীদের জন্য আছে নানান তথ্য। নিত্যকার হাজার কাজের ভিড়ে এই মানুষগুলোর কাছে তাই দেখা যায় ইন্টারনেট সংযুক্ত মোবাইল।

চাষির নাগালে আবহাওয়া বার্তা, বাজারদরের খোঁজ...
চাষাবাদের ফাঁকে শেষ খবরটা জানতে ইচ্ছা করলে মোবাইলে বাটন টিপে অনলাইনে চোখ বুলিয়ে নেন চরফ্যাসনের কুকরী মুকরীর চাষি আবদুর রহমান। বললেন, খবর জানতে অনলাইন দেখি। বাজেটে চাষির ভাগ্যে কী জুটেছে, ঝড়ের গতিবেগ কোনদিকে ধাবিত হচ্ছে, এমনসব তথ্য এই চাষির হাতে মুঠোয়। কোন বাজারে কী দরে পণ্য বিক্রি হচ্ছে, তা-ও জানা যায় মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যমে।

আবদুর রহমানের মত আরও বহু চাষি-জেলের দেখা মেলে উপকূলের বিচ্ছিন্ন জনপদে, যারা অনলাইনে ভরসা রাখেন। নিজের মোবাইল থেকে অনলাইনে ঢুকে শেষ খবরটা জেনে নেন। এইসব মানুষেরা বলছিলেন, তথ্য তাদের জীবন আরও খানিক স্বাচ্ছন্দ্য করে তুলেছে।  

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গন্ডদুলা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন আকন আলাপ প্রসঙ্গে বলছিলেন, এই প্রত্যন্ত গ্রামেও সারাবিশ্বের খবর পৌঁছে যায় মুহূর্তের মধ্যে। মাঠে চাষিরাও মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। অনেক সময় তাদের কাছ থেকেও শেষ খবরটা পাই। এই গ্রামে খবরের কাগজ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কখনো বাসি খবর পাওয়া যায়। আপডেট তথ্য মানুষের জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে জড়িয়ে আছে। চাষি আর জেলেদের পণ্যের ন্যায্য দাম পেতেও সাহায্য করছে ইন্টারনেট।         

চা-দোকানের আড্ডায় অনলাইন...
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপকূলের চা-দোকানের আড্ডার ধরনও যেন বদলে দিয়েছে। চায়ের দোকানে মোবাইলে একজনকে খবর পড়তে কিংবা অন্য কোনো তথ্যে চোখ বুলাতে দেখলে পাশে ভিড় করেন আরও কয়েকজন। মোবাইলে দৃষ্টি রেখে একজনে পড়ছেন, আর অন্যরা শুনছেন। এরই ফাঁকে কাপের পর কাপে চায়ে চুমুক। উপকূলের প্রান্তিক জনপদে এ দৃশ্যটা এখন অহরহই চোখে পড়ে। জীবনের জন্য তথ্যেও প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছেন এই মানুষেরা।

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আবদুস সালাম বলেন, এক সময়ে মানুষ তথ্যের প্রয়োজন বুঝতে পারেনি। এখন বুঝতে পারছে। তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে হরেক তথ্য। আর এসব তথ্য পেয়ে মানুষেরা জীবনের গতিপথ ঠিক করতে পারছেন না। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। ফলে তাদের জীবন অনেকটাই সহজ। সময় বাঁচিয়ে অল্প সময়ে অনেক কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।    

সহজে লেনদেন, আর টাকার জন্য অপেক্ষা নয়...
দ্বীপ জেলা ভোলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরার চর কলাতলীর বাসিন্দা শেফালী বেগম একাই থাকেন বাড়িতে। বার্ধক্যজনিত কারণে স্বামী প্রয়াত। ছেলে আবদুস সোবাহান ঢাকায় কাজ করে। মাসে মাসে টাকা পাঠায় বাড়িতে। মা তাকিয়ে থাকেন ছেলে কবে টাকা পাঠাবে। তা দিয়ে চলবে সংসার। বাড়িতে টাকা পাঠাতে ছিল বিরাট ঝামেলা। সোবাহান অপেক্ষা করতেন কবে তার পাশের বাড়ির লোক ঢাকা থেকে এলাকায় যাবেন। তাদের কাছে দিতেন টাকা।

কিন্তু এখন আর সেই সমস্যা নেই। শেফালি বেগম বলেন, মোবাইলে ছেলের খোঁজখবর পাই। কেমন আছে জানতে পারি। ছেলে টাকাও পাঠায় মোবাইলে। টাকার জন্য এখন আর দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয় না। দেনাদারের কথাও শুনতে হয় না।

কলাতলীর চরের আরও কয়েকজন বয়োঃবৃদ্ধের সাক্ষাৎ। শাহাদাত হোসেন, মফিজ উদ্দিন, আলতাফ হোসেন, আবদুল লতিফসহ কয়েকজন জানালেন তারাও একইভাবে বাড়িতে বসেই দূরে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে টাকা পয়সা পান। শেষ বয়সে এসে সহজ জীবনে প্রবেশ করে এই বয়সী ব্যক্তিরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। তারা বলেন, মোবাইল-ইন্টারনেট জীবনের অনেক ঝামেলা কমিয়ে দিয়েছে।    
 
ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীর আগ্রহ...
ক্লাসরুমে প্রোজেক্টরের মাধ্যমে পাঠদান করছেন শিক্ষক। ক্লাসে উপস্থিত সব শিক্ষার্থীর দৃষ্টি বড় পর্দায়। আগ্রহের সঙ্গে অত্যন্ত মনযোগে স্যারের কথা শুনছে তারা। দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের আইটি-বান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এমন চিত্র চোখে পড়ল। বইয়ের পাতার লেখা ও ছবিগুলো উঠে এসেছে বড় পর্দায়। শিক্ষার্থীরা অতি সহজেই বুঝে নিচ্ছে পাঠের এক একটি বিষয়। এই ধরনের পাঠদানে শিক্ষক-ছাত্র উভয়ই শ্রেণিকক্ষে স্বাচ্ছন্দ্য।

নবম শ্রেণির ছাত্র ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রোজেক্টরের মাধ্যমে পাঠদানের ফলে বইয়ের পড়া খুব সহজেই বুঝতে পারি। পড়া মুখস্ত করতে সহজ হয়, আবার লিখতেও পারি ভালোভাবে। তবে বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে নিয়মিত ক্লাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। বিদ্যুতের অভাবে অনেক সময় তথ্য মাল্টিমিডিয়া ক্লাস বন্ধ থাকে।

শুধু সন্দ্বীপ নয়, উপকূলের বিচ্ছিন্ন জনপদের বহু স্কুলে তথ্য-প্রযুক্তির আলো পড়েছে। ভোলা সদর উপজেলার টবগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনপুরার উত্তর সাকুচিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজীরহাট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চর চাপলি ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে পাঠদানের দৃশ্য চোখে পড়ে।

সহজেই স্বজনের খোঁজ খবর...
স্বজনদের কেউ থাকেন দেশে, কেউবা বিদেশে। উপকূলের প্রান্তিক জনপদে থেকে দূর-দূরান্তে অবস্থানকারী এসব স্বজনের খোঁজ নেওয়াটা একসময় ছিল অত্যন্ত কঠিন। লেখাপড়া জানা লোকজন কালেভদ্রে চিঠিপত্র লিখলেও যোগাযোগের ক্ষেত্রে সেটা পর্যাপ্ত ছিল না। তাৎক্ষণিক যোগাযোগের কোনো সুযোগ ছিল না বললেই চলে। টেলিফোনে জরুরি খবরটা জানানোও ছিল ভাগ্যের ব্যাপার।
 
তথ্য-প্রযুক্তি উপকূলের এই অন্ধকারেও আলো ফেলেছে। দূরে অবস্থান করলেও এখন আর স্বজনেরা দূরে নন। চাইলেই যখন তখন যোগাযোগ। শুধু মোবাইলে নয়, উপকূলের প্রান্তিক জনপদের মানুষেরা দেশে-বিদেশে অবস্থানকারী স্বজনের সঙ্গে অতি সহজে কথা বলতে পারেন স্কাইপিতে। ফলে দূরে থাকলেও বাড়ির প্রতিটি সিদ্ধান্তে অংশ নিতে পারেন তারা।

হাতিয়ার সুখচরের বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, ছেলে পড়ে থাকে বিদেশে। আর আমি দেশের মাটিতে। ছেলের কোনো খোঁজ পেতাম না। বাড়ির কোনো বিষয়ে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারতাম না। এখন তো চাইলেই কথা বলতে পারি। ছেলে কেমন আছে জানতে পারি।   

প্রত্যন্ত জনপদ সংযুক্ত কেন্দ্রে...
স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা থেকে বহুদূরের এই এলাকাগুলো সব দিক থেকে পিছিয়ে আছে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে এখানকার সাধারণ মানুষের কোনো যোগাযোগ ছিল না। তথ্য-শূন্যতায় স্বাভাবিক জীবনযাপনে নেমে আসতো চরম দুর্ভোগ। দুর্যোগের সিগন্যাল তাদের কাছে পৌঁছাতো না। ফলে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যেত। কিন্তু ইন্টারনেট সুবিধা সে অবস্থায় পরিবর্তন এনেছে। বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের মাঝে বেড়েছে সচেতনতা। প্রত্যন্ত জনপদ সংযুক্ত হচ্ছে কেন্দ্রে।

কুতুবদিয়ার তাবালর চরের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এক সময় আমরা অন্ধকারে ছিলাম। ঢাকায় কী হচ্ছে কিছুই জানতে পারতাম না। এখন জানতে পারি। রাজনৈতিক উত্তাপ কিংবা অন্য কোনো কারণে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া খবরেই এখন ভরসা। সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া খবর আমাদের ভাবতে সাহায্য করছে, সিদ্ধান্ত নিতে সুযোগ করে দিচ্ছে।

বিদ্যুতের অভাব, ইন্টারনেটের ধীরগতি, বড় বাধা...
উপকূলের বিচ্ছিন্ন জনপদের পাঠকেরা জানালেন, বিদ্যুতের অভাব আর ইন্টারনেটের ধীরগতি অনলাইনে সংবাদ পাঠে সবচেয়ে বড় বাধা। সৌরবিদ্যুতে কম্পিউটার চালাতে হলে আইপিএস লাগাতে হয়। সে সামর্থ্য অনেকের নেই। অনেকে জেনারেটরের সাহায্যে চার্জ নিয়ে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ চালু রাখেন। সেটা অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে ওঠে না। অন্যদিকে কোথাও কোথাও ইন্টারনেটেও রয়েছে ধীরগতি। এটা উপকূলের বিচ্ছিন্ন জনপদে অনলাইন প্রসারে বড় বাঁধা বলে স্থানীয়দের অভিমত।

সুদূরের আশাবাদ...
সব সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে আশার আলো। উপকূলের প্রান্তিকে সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে বহু সময় লাগতে পারে। বহু বছর চলাচল করতে হতে পারে নৌপথেই। আরও বহু বছর হয়তো বিচ্ছিন্ন থাকবে দ্বীপসমূহ। কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তি তাদের রাখবে কেন্দ্রের খুব কাছাকাছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবাদে আরও বদলাবে তাদের জীবন। এমনই আশাবাদ উপকূলের মানুষের।

[পশ্চিমে সাতক্ষীরা, পূর্বে টেকনাফ, উপকূলের এই ৭১০ কিলোমিটার তটরেখা বেষ্টিত অঞ্চলে সরেজমিন ঘুরে পিছিয়ে থাকা জনপদের খবরাখবর তুলে আনছে বাংলানিউজ। প্রকাশিত হচ্ছে ‘উপকূল থেকে উপকূল’ নামের বিশেষ বিভাগে। আপনি উপকূলের কোন খবর বাংলানিউজে দেখতে চাইলে মেইল করুন এই ঠিকানায়: [email protected] ]

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।