ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

তৈরি পোশাকে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, অন্য পণ্যে ছন্দপতন

সিনিয়র করেসপেন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
তৈরি পোশাকে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, অন্য পণ্যে ছন্দপতন

ঢাকা: করোনাভাইরাসের অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি চাপে। দেশে দেশে অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে।

এর মধ্যেই বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৩৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। আগের বছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে রপ্তানি আয় এসেছিল ৩৩ দশমিক ৮৪৩ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। রপ্তানি আয়ের সার্বিক চিত্র বলছে তৈরি পোশাক রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত। মোট রপ্তানির ৮৪ শতাংশের বেশি আয় এসেছে এক পণ্য থেকে। আর আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত চিংড়ি, কৃষিজাত পণ্য ও বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্যে মূল্য।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, আট মাসে তৈরি পোশাকের থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৩১ দশমিক ৩৬১ বিলিয়ন ডলার। যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। তৈরি পোশাক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। এবং একই সঙ্গে গত বছরের একই সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ২৭ দশমিক ৪৯৭ বিলিয়ন ডলার।

রপ্তানি আয়ের চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় কিছুটা চাপ সৃষ্টি হলেও তৈরি পোশাক রপ্তানির কৌশলগত আয় বেশি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে ৩০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার বেশি রপ্তানি হয়েছে। সকল পণ্যের কৌশলগত রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা দশমিক ৪৫ শতাংশ সংকোচিত হয়েছে।

রপ্তানি আয় বহুমুখী করার চেষ্টার মধ্যেই এ উদ্যোগ সংকুচিত হয়েছে এবার। যা অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে রপ্তানি আয়ের চিত্রে ফুটে উঠেছে। এ সময়ের রপ্তানি আয়ের চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অন্যান্য রপ্তানি পণ্যে কোনোই সুখবর নেই। বরং আশা ভেঙেছে। আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে এ সব পণ্যের রপ্তানি।

এক সময়ের সোনালী আঁশ পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় কমেছে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ; হিমায়িত মৎস্য কমেছে ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ; কৃষি পণ্য রপ্তানি কমেছে ২৬ শতাংশ; রাবার জাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ৩৪ শতাংশ এবং বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি কমেছে ২৩ শতাংশ। পরিমাণে কম হলে হস্তজাত শিল্পে পতনের ধাক্কা লেগেছে।

তবে জাহাজ নির্মাণ ও প্লাস্টিকে পতন ঠেকিয়ে প্রবৃদ্ধির ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
জেডএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।