ঢাকা: লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের সিগনেচার মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম ‘প্ল্যাটফর্ম শি’র চতুর্থ সংস্করণ উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে।
পরবর্তী প্রজন্মের নারী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণফোন – প্ল্যাটফর্ম শি এর অনন্য উদাহরণ।
এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী নারীদের পরিবর্তনশীল বিশ্বে এগিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও নির্দেশনা দেওয়া হবে। প্ল্যাটফর্ম শি ৪.০ এর মাধ্যমে গ্রামীণফোনে কর্মরত ১৫ জন মেধাবি নারীকে নির্বাচিত করা হয়েছে, যারা এ প্রোগ্রামে মেন্টর হিসেবে কাজ করবেন। প্রত্যেকে মেন্টরের সঙ্গে একজন মেন্টি থাকবেন, যাদের একটি কঠোর নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুসরণ করার মাধ্যমে এ প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য দেশের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, লক্ষ্য রাখা হয়েছে যেনো মেধাবি ও কঠোর পরিশ্রমী প্রার্থীরাই রূপান্তরমূলক এ যাত্রায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
ছয় মাসের এ প্রোগ্রামে মেন্টিরা পেশাগত জীবন সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন, আত্ম-উন্নয়ন ঘটবে এমন ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করবেন এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় সব দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। প্ল্যাটফর্ম শি ৪.০ প্রোগ্রাম অংশগ্রহণকারীদের ক্ষমতায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, যার মাধ্যমে তারা তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারবেন। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক প্রেক্ষাপট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে হবেন, যার মাধ্যমে এ প্রোগ্রাম অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সহযোগিতামূলক ভাবনা তৈরি, নেটওয়ার্কিং ও চিন্তার আদান-প্রদানে ভূমিকা রাখবে।
প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেন্টরশিপের গুরুত্ব প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন বলেন, ‘লিঙ্গ সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৈচিত্র্যময় পরিবেশ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম রূপান্তরমূলক প্রভাব ফেলতে সক্ষম। প্ল্যাটফর্ম শি ৪.০ অংশগ্রহণকারীদের পেশাগত যাত্রায় উজ্জীবিত করার চেষ্টা করবে, যা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতায় দক্ষ হতে সহায়তা করবে। এ প্ল্যাটফর্মের মধ্য দিয়ে আমরা সফলভাবে তাদের নারী শিক্ষার্থী থেকে নারী পেশাজীবীতে রূপান্তর করতে চাই। এ প্ল্যাটফর্ম কেবল তাদের আগ্রহীই করে তুলবে না, পাশাপাশি এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবে যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের বিকাশ ঘটাতে পারবেন এবং সফলতার অনন্য শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। ’
এ প্রোগ্রামের বিষয়ে নিজেদের আগ্রহ নিয়ে বলতে গিয়ে অংশগ্রহণকারীরা জানান তারা প্ল্যাটফর্ম শি’তে অংশগ্রহণের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ভবিষ্যতের লিডার হিসেবে গড়ে তুলতে চান। যার মাধ্যমে তারা তাদের কমিউনিটিতে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবেন। বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে যে অপার সম্ভাবনা ও মেধা রয়েছে তা তাদের উৎসাহ ও সংকল্পের মধ্য দিয়েই প্রকাশ পেয়েছে।
প্ল্যাটফর্ম শি ৪.০ কেবল ব্যক্তিগত ও পেশাগত প্রবৃদ্ধিতেই ভূমিকা রাখবে না; পাশাপাশি এ প্ল্যাটফর্ম দীর্ঘমেয়াদে নেটওয়ার্কিং এবং মেন্টর ও মেন্টিদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে ভূমিকা পালন করবে, যা অংশগ্রহণকারীদের ইন্ডাস্ট্রি নেটওয়ার্ক বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামীণফোনের লক্ষ্য এ প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণকারীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতায় দক্ষ করে গড়ে তোলা, তারা যেনো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল হতে পারেন এবং আগামীতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখতে পারেন। নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার ভিত্তিতে সমাজ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন। আর তাই, প্ল্যাটফর্ম শি ৪.০ এর মাধ্যমে গ্রামীণফোনের লক্ষ্য সম্ভাবনাময় সব মেন্টিদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা, যেন তারা নিজেরাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
এমআইএইচ/আরআইএস