ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৮ মে ২০২৪, ১৯ জিলকদ ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

সাইমন প্রকল্পে সহায়তা করবে বিজিএমইএ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
সাইমন প্রকল্পে সহায়তা করবে বিজিএমইএ

ঢাকা: কর্মীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক সাইমন ইনস্টিটিউটের নেতৃত্বে একটি মাল্টি-স্টেকহোল্ডার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

অ্যাসোসিয়েটেড ব্রিটিশ ফুডস এবং জার্মান ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেন্সি (জিআইজেড) দ্বারা যৌথভাবে অর্থায়ন করা সাইমন প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে অ-মরণঘাতী দুর্ঘটনার অনুপাত বের করতে পুনরাবৃত্ত তথ্যগুলো সংগ্রহ করা।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান এবং সাইমন ইনস্টিটিউটের পরিচালক জেভিয়ার চেরকোলেস পিএইচডি এর উপস্থিতিতে সাইমন প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক নাভিদুল হক ও পরিচালক রাজীব চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সাইমন প্রকল্প ঢাকায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে একটি উদ্ভাবন স্থান এবং বিজিএমইএ-এর ৯টি মেডিক্যাল সেন্টারে আইটি টুলস বাস্তবায়ন করবে। এই সহযোগিতামূলক উদ্যোগটি সান্তিয়াগো ডি কম্পোসটেলা বিশ্ববিদ্যালয় (স্পেন) এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় উভয় অঙ্গনের ফরেনসিক টিমগুলোকে প্রকল্পটিতে যুক্ত করবে, যাতে করে মেডিক্যাল সেন্টারগুলোর প্যারামেডিক এবং ডাক্তারগণ ছোটখাটো আঘাত, স্বাস্থ্য সমস্যা এবং কোভিডের মত গুরুতর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেতে পারেন।

সকল পোশাককর্মীদের পক্ষে বিমার প্রভিশন হিসাব করার জন্য এই তথ্যগুলো অপরিহার্য হবে, যেখানে বেসরকারি বিমা কোম্পানি এবং/অথবা সরকারি খাত অর্থায়ন করতে পারে এবং কারখানা ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর আর্থিক অবদানের হিসাবও রাখা যেতে পারে।

২০২২ সাল থেকে শুরু করে এরই মধ্যে সাইমন প্রকল্পটি ৫০টি কারখানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে এবং ২০০,০০০ এরও বেশি শ্রমিকের জন্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। বিজিএমইএ এর ৯টি মেডিকেল সেন্টারে প্রকল্পটি সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশের সকল পোশাক কর্মীরা ডেটা সংগ্রহের আওতায় পড়ছে।

সাইমন প্রকল্পটি আইএলও ও জিআইজেড এর অর্থায়নে এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম (ইআইএস) এর পরিপূরক।

সাইমন প্রকল্প নিয়মিত কর্মীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছে, যার মধ্যে এক বছরে ৫০ লাখেরও বেশি তথ্য-উপাত্ত থাকতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। উভয় স্কিমই বাংলাদেশের সকল পোশাক কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বিজিএমইএ লক্ষ্যের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
এমকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad