ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

দেশে গ্লোবাল কাস্টমার কেয়ার চালু করল হায়ার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
দেশে গ্লোবাল কাস্টমার কেয়ার চালু করল হায়ার

ঢাকা: বাংলাদেশে ‘হায়ার গ্রুপ গ্লোবাল লিডিং ডিজিটাল সার্ভিস সিস্টেম গ্লোবাল কাস্টমার কেয়ার (জিসিসি)’ প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে গ্লোবালি সেরা অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হায়ার।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) গুলশান অ্যাভিনিউয়ের হায়ার বাংলাদেশ করপোরেট অফিসে এক জাঁকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ কাস্টমার কেয়ারের উদ্বোধন করা হয়।

জিসিসি হচ্ছে হায়ার গ্রুপের সবচেয়ে উন্নত গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্ট ইন্টারেক্টিভ সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বব্যাপী অগ্রণী ডিজিটালাইজড সিস্টেম। জিসিসি চালু হওয়ার পর হায়ারের গ্রাহকরা ফোন, ই-মেইল ও সোশ্যাল মিডিয়ার মতো একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে সহজেই পরিষেবা পেতে পারেন। হায়ার সার্ভিস টিম অন-সাইট সার্ভিস টেকনিশিয়ানদের জন্য আরও ভালো প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেক বেশি দক্ষ ও প্রতিক্রিয়াশীল পরিষেবা দেবে। ফলে প্রযুক্তিবিদরা হায়ার গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও দক্ষভাবে পেশাগতভাবে পরিষেবা দিতে সক্ষম হবে। জিসিসি সিস্টেম পুরো পরিষেবা প্রক্রিয়াটিকে আরো স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান করে তুলবে। গ্রাহক অভিযোগের পুরো প্রক্রিয়াটি ট্র্যাক করতে এবং সন্তুষ্টি না হওয়া পর্যন্ত রিয়েল টাইমে আপডেট পেতে পারেন।  

জিসিসি সিস্টেম চালু করে বিশ্বের অনেক দেশে হায়ার গ্লোবালের সেরা গ্রাহক সমাধান হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হায়ার ইন্ডিয়া, হায়ার পাকিস্তান, হায়ার থাইল্যান্ড ও আরো অনেক দেশে। সেরা পরিষেবার অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার লক্ষ্যে এবার হায়ার বাংলাদেশে জিসিসি চালু করাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।  

হায়ার গ্রুপ ওভারসিজ সার্ভিসের জেনারেল ম্যানেজার মি. ওয়াং ইয়ান বলেন, জিসিসি প্রকল্প হায়ারের পরিষেবার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ ও পুরো পরিষেবা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। বিদেশে প্রায় বিশ বছরের উন্নয়ন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হায়ার ব্যবহারকারীদের দ্রুত এবং উচ্চমানের পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ৫০টিরও বেশি দেশে স্থানীয় বিক্রয়োত্তর পরিষেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য পরিষেবাটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টাচ পয়েন্ট এবং গ্রাহকদেরও হায়ারের যত্নের অভিজ্ঞতা নেওয়ার একটি সুযোগ।

হায়ার বাংলাদেশ লিমিটেডের ডিএমডি মি. ওয়াং শিয়াংজিন বলেন, আমাদের কোম্পানি ‘কাস্টমার ইজ অলওয়েজ রাইট’ নীতি মেনে চলে। আমাদের কাছে গ্রাহকের সন্তুষ্টিই প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার এবং আন্তরিক চিরকাল। আমরা ব্যবহারকারীর চাহিদাকে সর্বদা প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করি। আমরা ডিজিটাইজেশন ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে সর্বোত্তম পরিষেবার অভিজ্ঞতা দেওয়ার লক্ষ্য রাখছি।

হায়ার একটি উদীয়মান বাজার হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছরে দ্রুত প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। হায়ার বাংলাদেশ ‘সিনসিয়ার ফরএভার’ কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করে এবং ‘কেন্দ্রীয় গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও ব্র্যান্ডের সুনাম তৈরি’ পরিষেবা নীতি মেনে চলে। ডিজিটাল পুনরাবৃত্তি এবং আপগ্রেডিংয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের দ্রুত, দক্ষ ও এককালীন পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি পেশাদার, ব্র্যান্ডেড ও ভিন্নমাত্রার পরিষেবা ব্যবস্থা তৈরি করেছে।  

হায়ার বাংলাদেশে বিশাল গ্রাহক শ্রেণির জন্য আরো ভালো পরিষেবা নিশ্চিতের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। ফলে ‘গুড কোয়ালিটি’ ও ‘গুড সার্ভিস’ হায়ারের একটি সমার্থক শব্দ হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।