ঢাকা: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত বাঙালি ঐতিহ্যের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ‘বৈশাখী মেলা ১৪৩১’। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাঙালির পুরোনো সংস্কৃতি ‘বৈশাখী মেলা’ যেন দিন দিন মলিন হয়ে যাচ্ছে বিশ্বায়নের এ অভিযাত্রায়। বাঙালির এ সংস্কৃতি নতুনরূপে উপস্থাপনের লক্ষ্যেই এ বিশেষ উদ্যোগ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ড. আব্দুর রব খান সকালে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ক্লাব সদস্যদের সরব উপস্থিতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। মেলায় স্টলের ব্যবস্থা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্টলের মাধ্যমে মেলায় অংশগ্রহণ করেন।
স্টলগুলোতে বাহারি পদের খাবার, মাটির তৈরি জিনিসপত্র, শখের হাঁড়ি, আকর্ষণীয় অলঙ্কারসহ অসংখ্য রঙিন দর্শনীয় বস্তু লক্ষ্য করা গেছে। স্টলগুলো ছিল বাংলা শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে নাগরদোলার ব্যবস্থাও করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কোলাহলে সরগরম হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ।
বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি যেন এভাবেই চিরদিন ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে অবারিত ডানা মেলতে পারে সেই আশা ব্যক্ত করেন আয়োজক ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট মৌরিন ইসলাম। এছাড়াও তিনি সবার উপস্থিতির জন্য সর্বোচ্চ আনন্দঘন পরিবেশ নিশ্চিত করতে নিরলস পরিশ্রম করায় তার স ক্লাব সদস্য ও ভলান্টিয়ারদের ধন্যবাদ জানান।
বৈশাখী মেলার আয়োজন নিয়ে ক্লাবটির ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইসর মেসবাহ উল হাসান চৌধুরী বলেন, বাঙালি ঐতিহ্যের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বৈশাখী মেলা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে আধুনিকতায় আমাদের এ ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বাঙালি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পুনরায় পরিচয় করিয়ে দিতেই এ বৈশাখী মেলার আয়োজন। এ মেলার মাধ্যমে সবাই নতুন করে বাঙালি শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে উদ্বুদ্ধ হবে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের উদ্যোগে এমন একটি কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পেরে আমরা গর্বিত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
আরআইএস